Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালত খোলা রাখতে ঢাকা বারের অনুরোধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালত খুলে দেয়ার আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। গত সোমবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. হজরত আলী স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে এ আবেদন পাঠানো হয়।

আবেদনে করোনা চলাকালেও বিচার কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে বেশকিছু সুপারিশ পেশ করা হয়। এতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের স্বার্থে কিছু নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। নির্দেশাগুলো হচ্ছে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে আসামিদের হাজিরা ও সময়ের আবেদন আইনজীবীদের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। দেওয়ানি মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা যেতে পারে। হাজতি আসামিদের হাজিরা জেলখানা রেখে শুধু আসামিদের কাস্টডি পেপার স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। সিআর মামলা ফাইলিংয়ের বিষয়ে বাদী ও তার নিযুক্ত আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন। আদালতের এজলাস কক্ষে একই সময়ে সীমিত সংখ্যক আইনজীবী মামলা পরিচালনা বা শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এজলাসের ডায়াসে এক থেকে দুইজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করতে পারেন। অল্পসংখ্যক আসামি উপস্থিত থাকতে পারে। আদালতে প্রবেশ করার আগে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এজলাস কক্ষে বিচারপ্রার্থীদের বিনা প্রয়োজনে প্রবেশ সীমিত করা যেতে পারে। অস্থায়ী জামিন অটো এক্সটেনশন করা যেতে পারে। আপিল, রিভিশন ও মিস কেস ফাইলিং তামাদি থাকলেও ফাইলিং এবং শুনানি হতে পারে।



 

Show all comments
  • এ এস এম আরিফ উল ইসলাম ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৩২ এএম says : 0
    দুঃক্ষিত, বার সভাপতি ও সেক্রেটারী মহোদয়, আপনাদের প্রস্তাবনা সমুহ বাংলাদেশের মানূষের জন্য প্রজোয্য নয়। এগুলো উন্নত বিশ্বের সুশিক্ষিত আইনিজীবিদের বেলায় প্রজোয্য হতে পারে, বাংলাদেশের নয়। যেদশের মানুষের নুন্যতম সাধারন জ্ঞ্যান এবং বিবেকবোধ নেই সেখানে আপনাদের প্রস্তাবিত "স্বাস্থ্যবিধি" মেনে চলা, "শারীরিক দুরত্ব" বজায় ্রাখার অর্থই বা কয়জনে বোঝে, এবং এটা মেনে চলার গুরুত্বই বা কতজনে জানে; এ এক বিরাট প্রশ্ন। যেখানে লিফটের সাধারন ধারন ক্ষমতা ৮ জন, সেখানে এই করোনাকালীন সময়েও ১২/১৪ জনের কমে একটা লিফটে উঠে নাই, দুই একজন অতি সচেতন এবং কমনসেন্স সমৃদ্ধ আইনজীবি এতে বাধা দিলে "বিজ্ঞ্য সিনিয়র" রা বলেছেন--"আহ, থাক না, ওদেরও তো জরুরী কাজ আছে, যেতে হবে" সেখানে আপনি ঢাকা কোর্টের উকিল বাবুদের খাওয়াবেন স্বাস্থ্যবিধি আর শারীরিক দুরত্বের বটিকা? কয়জনে বোঝে এই কথার অর্থ এবং ইম্পিকেশান? আমি, সিরাজগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে গেল বছর দেখেছি মাননীয় জেলা জজ মহোদয় (এক্স রা।বি) তার কোর্টে মাত্র ৬ জনের বেশী আইনজীবিকে একসাথে কোন কারনেই প্রবেশ করতে দেন নাই, তিনি এটা কঠোর ভাবে মেইনটেইন করেছেন। অথচ, ঢাকার কোর্টগুলোতে কোন শারীরিক দুরত্ব, স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। কোর্টের ভেতরে হকার, খুচরো দোকানদার, ভিক্ষুক, ফেরিওয়ালা থেকে কি নাই, বলুন? দরজায় দরজায় শুধু টাকা খরচ করে ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছেনঃ "নো মাস্ক, নো সার্ভিস", কয়টা স্টাফ মুখে মাস্ক পরেন? কয়জন আইনজীবিকে মাস্ক না পরার কারনে সার্ভিস বঞ্চিত করা হয়েছে? বরং উল্টোটাই হয়েছে। সহ আইনজীবিকে যদি মাস্ক পরার বা শারীরিক দুরত্বের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে--উলটো বাকা কথা শুনতে হয়েছে। আর এখানে আপনি কেতাবী স্বাস্থ্যবীধি আর শারীরিক দুরত্ব মানাবেন? হাযার আইনজীবির ঢাকা কোর্টে সেটা মানানোও খুব কঠিন ব্যাপার, যদি না প্রত্যেক আইনজীবি নিজে সচেতন না হোন--খুব দুঃখ নিয়ে বলতে চাই, এখানের বেশীরভাগ আইনজীবিই গোয়ার এবং মুর্খতার প্রতিভু। কাজেই, দয়া করে কেতাবী কথা বার্তা বলে মানুষকে ঝুকির মধ্য ফেলে দেবেন না। পারলে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান, যাতে বন্ধকালীন সময়ে জুনিয়র আইনজীবিদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মানবিক ভাতার ব্যবস্থা করতে পারেন। তাহলেই প্রকৃতপক্ষে আইনজীবিদের কল্যানে কিছু করা হবে। এর বাইরে বার থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিন-- (যখনই কোর্ট খুলবে) সিনিয়র, জুনিয়র, নেতা, অ-নেতা নেই, সবাইকে মাস্ক পরতেই হবে, এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে লিফট ও বিল্ডিং এ প্রবেশ করবেন (বার বিল্ডিং সহ আদলত ভবনের এর প্রবেশমুখে আনসার রাখুন যারা নিশ্চিত করবেন মাস্ক এবং শারীরিক দুরত্ব)। সচেতনা মুলক প্রচারনার প্রথম শো টা আপনারাই শুরু করুন; সাথে ১০/২০ জন নিয়ে না হেটে একাকী ( বা প্রয়োজনে ১/২ জন জুনিয়র সহ) চলুন, লিফট এবং আদালত কক্ষ মোয়াক্কেল এবং তাদের চৌদ্দগুষ্ঠির উপস্থিতি মুক্ত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, আদলত প্রাঙ্গন থেকে হকার, খুচরো দোকান, ভিখেরী ফেরিওয়ালা টাউট বাটপার দূর করুন, আদালত প্রাঙ্গন নিয়মিত পরিষ্কার সহ জীবানুনাশক ছিটান; সর্বপরি এসব নিয়মিত মনিটর করুন। আপনারা বারের নির্বাচিত প্রতিনিধি--আমরা আপনাদের ভোট দেই আমাদের শারীরিক এবং আর্থিক অবস্থার নিরাপত্তা বিধানের জন্য; হাস্যকর এবং অবাস্তব কথার ফানুস উড়াবার জন্য নয়। (কমেন্টকারী ঢাকা আইনজীবি সমিতির একজন গর্বিত সদস্য। কমেন্ট এর ভাষা এবং শব্দচয়ন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন বা হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নয়-- পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও গুরুত্ব উপলব্ধির জন্য মাত্র)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ