Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

মসজিদে সেহরি-ইফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনাকালে আসন্ন রমজানে মসজিদে সেহরি ও ইফতারের আয়োজনে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের তাজ জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়েরের পক্ষে ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ এ নোটিশ দেন। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে।

নোটিশ ইস্যুকারী আইনজীবী জানান, মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় যে নির্দেশ জারি করেছে, তা পবিত্র কোরআন ও হাদিসের পরিপন্থী। সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য নোটিশ দিয়েছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন রমজানে মসজিদে সেহরি ও ইফতারের আয়োজন না করার নির্দেশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে মসজিদে জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় শর্তসাপেক্ষে মসজিদে জামায়াতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে শর্তগুলো পালনের জন্য অনুরোধ করছে।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে : (১) মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। (২) প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু ও সুন্নত নামাজ আদায করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। (৩) মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। (৪) কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। (৫) শিশু, বয়োবৃদ্ধ যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিকে জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে হবে। (৬) সংক্রমণ রোধে নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। (৭) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। (৮) মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। (৯) করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন। (১০) মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এসব নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ