Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রফতানিতে আয় সাড়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন বিস্তারের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পণ্য রফতানি আয়ে বাংলাদেশ আগের একই সময়ের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। তবে শুধু মার্চ মাসে রফতানি আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করে দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১২ শতাংশ কম।

গতকাল মঙ্গলবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেশের পণ্য রফতানি আয়ের এই চিত্র উঠে এসেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। এর আগে বছরের প্রথম দুই মাসে রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। ২০২০ সালের শুরুতে চীন থেকে সারা বিশ্বে কভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর মার্চে তা বাংলাদেশের রফতানিখাতকেও আক্রান্ত করে। তখন একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছিল; নতুন ক্রয়াদেশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এমনকি রফতানির জন্য প্রস্তুতি পণ্যগুলোও জাহাজিকরণ স্থগিত করেছিল বিদেশি ক্রেতারা।

এক বছর পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারীর বিস্তার ও মৃত্যুহার। মার্চে পণ্য রফতানির চিত্র ঘুরে দাঁড়ালেও তা দেশের মাসিক লক্ষ্য থেকে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ পিছিয়ে আছে। এই মাসে ৩৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির পরিকল্পনা ছিল। আবার নয় মাসে পণ্য রফতানি আয় আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে চার দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসময়ে রফতানির লক্ষ্য ছিল তিন হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য। চলতি অর্থবছরে চার হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার।

রফতানি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নীটপণ্য রফতানির ধারাবাহিক উন্নতি রফতানিখাতের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভ‚মিকা রাখছে। তবে প্রধান রফতানি পণ্য উভেনপণ্য আগের মতোই নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। নয় মাসে একহাজার ২৬৫ কোটি ডলারের নিটপণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল একহাজর ১৯৫ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ঠিক ফেব্রæয়ারি মাসেও নিট পণ্যে চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। একই সময়ে উভেন পণ্য রফতানি হয়েছে ১০৮৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কম। পোশাক শিল্পের বাইরে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বেশ ইতিবাচক ভ‚মিকা রেখেছে। টাকার অংকে এসব পণ্য রফতানির আকার কম হলেও প্রবৃদ্ধিতে বেশ এগিয়ে আছে পাটপণ্য ও হোম টেক্সটাইল।

মার্চ মাস শেষে ৯৫ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক হিসাবে ২২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে এই খাতে। একইভাবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি হয়েছে ৮৪ কোটি ডলারের যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল মাত্র ৫৯ কেটি ডলারের হোম টেক্সটাইল। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রফতানিপণ্য। তবে এই সময়ের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য খুব একটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি।

এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য রফতানির টার্গেট নিয়ে ৬৮ কোটি কোটি ডলারের পণ্য রফতানির সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শ‚ন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ