পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কিছুদিন আগেও অনলাইনে কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন, ঘরে বসে শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল কাল্পনিক। প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ, মানুষের সম্পৃক্ততা, জীবন-যাত্রা সহজীকরণের ফলে এখন বাংলাদেশের মানুষ সবকিছুতেই প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সেবা, ঘরে বসেই চলছে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হচ্ছে আর্থিক লেনদেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা, টেলিমেডিসিনে নানাবিধ রোগের চিকিৎসা, এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যও চলছে অনলাইনকে কেন্দ্র করে। ফলে মাত্র কয়েকবছরের ব্যবধানে দেশে অনলাইনে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৬-৭ বছর ধরেই মানুষের জীবন-যাত্রার সাথে সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহণের ধরণে পরিবর্তন হচ্ছিল। পরিবর্তনের এই ধরণ কিছুটা ধীরগতিই ছিল। তবে গতবছর করোনাভাইরাস এবং দেশজুড়ে লকডাউন সেই গতিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যে পরিবর্তনটা দেশের প্রযুক্তিবিদরা ২০২৫ সালের দিকে প্রত্যাশা করেছিল সেটি ৫ বছর আগেই হয়ে গেছে। যার ফলে এখন শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গার মানুষই সবধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছে। অনলাইনে অভ্যস্ততার কারণে একদিকে যেমন মানুষের সময় সাশ্রয় হচ্ছে, অন্যদিকে গতিশীল হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সার্বিক কার্যক্রম। এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় আবারও সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। গতবছরই করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন নতুন বিষয় হওয়ায় কিছু প্রতিবন্ধতা তৈরি হয়েছিল তবে এবার সেই অভিজ্ঞতা আরও এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
তবে ইন্টারনেটের ওপর সার্বিক কার্যক্রম নির্ভর করলেও তার সেবা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ, প্রয়োজনীয় গতি না থাকায় প্রায়শই ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। অনলাইনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারী জাকারিয়া তামিম বলেন, গতবছর লকডাউনের সময় ইন্টারনেট নিয়ে ভয়াবহ সমস্যায় পড়েছিলাম। একে তো হোম অফিস ছিল তার ওপর ইন্টারনেটের সমস্যা ভোগান্তি ছিল চরমে। তিনি বলেন, সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছ থেকে যে সেবা পাওয়ার কথা তার অর্ধেকও পাওয়া যাচ্ছে না। এবার ইন্টারনেটের কোন সমস্যা নেই জানিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, সারাদেশেই আমাদের ইন্টারনেট সেবা সচল আছে। আমাদের নেটওয়ার্ক ও লোকবল প্রস্তুত আছে। গতির ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা নেই। শুধু ঢাকা দক্ষিণে যদি কোথাও ক্যাবল কেটে দেয় সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তিনি জানান, লকডাউন শুরুর আগে দেশে ২৩শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো। এখন আরও কিছু বেড়ে যাবে। ব্যান্ডউইথেরও কোন সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।
বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটা, ঝুঁকছেন নতুন উদ্যোক্তারা: কয়েকবছর ধরেই অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলেন দেশের মানুষ। এই সময়ে দোকানে কিংবা মার্কেটে না গিয়ে ঘরে বসেই কাক্সিক্ষত পণ্য কেনাকাটা করাটা শিক্ষিত এবং ধনী শ্রেণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গতবছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও দেশে লকডাউনের সময় অনলাইন কেনাকাটা সার্বজনীন রূপ নেয়। শহরের ধনী ব্যক্তি থেকে শুরু করে গ্রামের কৃষক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে অনলাইন কেটাকাটার নতুন ট্রেন্ড। আর এতেই ২০২০ সালে অনলাইন মার্কেটের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৬ শতাংশ। যা এর আগের বছরগুলোতে ছিল ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। এই খাতের মার্কেট সাইজও বেঁড়ে দাঁড়ায় ২ বিলিয়ন ডলার। এ বছর শেষে কিংবা আগামী বছরেই এটি ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দেয়া হয়েছে লকডাউন। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়ার পর থেকে অর্ডার বাড়ছিল। তবে ‘লকডাউনের’ খবরে আগের চেয়ে ক্রেতাদের অর্ডার বেশি পাচ্ছেন তারা। ক্রেতারও বলছেন, মাঝে কয়েকমাস অনলাইনে কেনাকাটা না করলেও গত দু’দিনে নিত্যপণ্যের জন্য তারা এসব ই-কমার্স সাইটের দিকে ঝুঁকছেন। মার্কেট বন্ধ থাকায় অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখন অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে।
গতবছর করোনা ও লকডাউনকালে সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আকস্মিক পরিস্থিতির কারণে প্রস্তুতির ঘাটতিও ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সেসময়ের অভিজ্ঞতা এবার ই-কমার্সখাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন তারা।
ই-কমার্সের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেন, গতবছর লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির ফলে আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন যে কোন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত। এছাড়া সেই লকডাউন দেশের মানুষকে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত করে তুলেছে। এতে সেবা প্রদান ও গ্রহণ এখন আরও সহজ হয়েছে।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, লকডাউনে জনগণকে যেনো সেবা দিতে পারি এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যে কোন পণ্য যেনো প্রত্যন্ত গ্রামে সময়মত পৌঁছে দেয়া যায় এজন্য সরকারের সাথে মিলে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাই শহর, গ্রাম এমনকি দেশের বাইরেও যেনো আমাদের পণ্য পৌঁছে দেয়া যায় সেটি নিশ্চিত করছি।
নতুন উদ্যোক্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, সামনে ঈদ আছে, এসময় অনেক নতুন উদ্যোক্ত তৈরি হবেন। তারাও যেনো সুন্দরভাবে সেবা প্রদান করতে পারে এজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারাও যেনো অনলাইন কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতারিত না হন, সঠিক সাইট কিংবা অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা করতে পারে এজন্য সারাদেশে একটি ক্যাম্পেইনও করা হবে। যাতে বিভিন্ন অফারে তারা প্রলুব্ধ না হয়। এছাড়া অনেক দোকান এখন বন্ধ রয়েছে, তারাও অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন, তাদের পণ্য বিক্রি, ডেলিভারি, পেমেন্ট কিভাবে নেবে সেসব বিষয়ে তাদেরকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কমকর্তা মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। গ্রোসারি, ফুড ও সার্ভিসিংয়ের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। এ ধরনের আইটেম ডেলিভারির ক্ষেত্রে গ্রাহক যেন দ্রæত পায় সেজন্য প্রায় ৬ হাজার ইভ্যালি হিরো বা ডেলিভারিম্যান কাজ করছে।
দেশের সবচেয়ে বড় নিত্যপণ্যের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘চালডাল ডটকম’। গত বছরের অভিজ্ঞতায় গুদামের পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের জন্য লোকবলও বাড়িয়েছে তারা। ঢাকার বাইরেও ব্যবসা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চালডালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার জিয়া আশরাফ বলেন, গতবছরের অভিজ্ঞতার পর আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছি। এখন আমরা এক ঘণ্টায় পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছি। এবার লকডাউনের ঘোষণার পর অর্ডার যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে মানুষের জানতে চাওয়া। অনেকেই আমাদের কাস্টমার কেয়ারে কল করে জিজ্ঞাসা করছেন আমরা ঠিকমত পরিষেবা দিতে পারব কিনা। কারণ গতবছর হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায় আমাদের কাজ করতে কিছু অসুবিধা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে মানুষ জানতে চাইছে।
তবে গতবার ক্রেতারা অনেক বেশি পণ্য কিনতে চাইলেও এবার সেই প্রবণতা কম বলে জানান জিয়া। তিনি বলেন, গতবার যেমন মানুষ অনেক পরিমাণে অর্ডার করেছিল এবার সেটা কমেছে। আর আমরা কিছু নিত্যপণ্য মজুদ করেছি, যাতে ঠিকঠাক অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারি। লকডাউন ঘোষণার পর অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন, সে হিসেবে আমাদের অর্ডার কমার কথা, কিন্তু তা হয়নি।
সুপারশপ স্বপ্নের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকরা আউটলেট থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের স্বপ্ন ডটকম চালু আছে। সেখানে ফোন দিয়ে কাস্টমার অর্ডার করতে পারেন, আমরা হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে থাকি। এছাড়া তারাও অনলাইনে অর্ডার দিতে পারেন। যারা হোম ডেলিভারি দিচ্ছে তাদের আগে থেকেই হেল্থ চেক আপ করা হয়। তারা পিপিই পরে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে। এছাড়া পণ্যগুলো আগে থেকেই স্যানিটাইজ করা থাকে।
অনলাইন শপ শাবাব লেদারর্সের স্বত্বাধিকারী মাকসুদা খাতুন বলেন, আমাদের প্রোডাক্টগুলো আমরা ফেসবুকে দিচ্ছি। আমাদের ওয়েবসাইটে দিচ্ছি। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটেও যাচ্ছে। আমরা নতুন করে পণ্যের ছবি দিচ্ছি। এছাড়া পহেলা বৈশাখ, ঈদ উপলক্ষে আমাদের নতুন পণ্য আসছে একইসঙ্গে বিভিন্ন ছাড়, অফারের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায় লকডাউনে আমরা ক্রেতার দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে পারব।
সবই হচ্ছে ডিজিটাল লেনদেনে: করোনাকালে মানুষের জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছিল এখনো তা অব্যাহত আছে। এখন মানুষ ঘরে বসে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করছে। সামাজিক দূরত্ব মানতে যেয়েই এমন অবস্থা। ব্যাংকিং লেনদেনেও এর প্রভাব পড়েছে। করোনার সময়ে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। গত ডিসেম্বরে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৩ জন। লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে ছিল ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। একইভাবে বেড়েছে মোবাইল ব্যাংকিংও। টাকা পাঠানো, সকল ধরণের বিল পরিশোধ, স্কুল-কলেজের ফি প্রদান, পণ্য ডেলিভারি চার্জ, রেমিটেন্সসহ সবই হচ্ছে এই মাধ্যমে। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম জানান, গতবছর লকডাউনের সময় ট্রানজেকশন কম হলেও জুন-জুলাই থেকে বেড়ে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ১২ থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা গড়ে লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। তিনি বলেন, মানুষ এখন ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যাংকে না গিয়েও ব্যাংক থেকে মোবাইল টাকা নেয়া, জমা দেয়া, যে কোন ধরণের বিল পরিশোধ, বেতন, ফি, অনলাইন পেমেন্ট সবই করা যাচ্ছে। ঘরে বসে আর্থিক লেনদেনের সকল সেবা পাওয়ায় পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম-টেলিমেডিসিন: করোনাকালে প্রযুক্তিতে নতুন যুক্ত হয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ও টেলিমেডিসিন সেবা। গতবছর লকডাউনের সময় যখন সবকিছুই বন্ধ ছিল তখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে শুরু হয় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এখনো এটি অব্যাহত রয়েছে।
আর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে টেলিমেডিসিন সেবা। করোনাভীতিতে রোগী ও চিকিৎসকরা যখন পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন তখন টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ শহরের নামিদামী চিকিৎসকদের কাছ থেকে নিয়েছেন চিকিৎসা পরামর্শ, দেখিয়েছেন পরীক্ষার রিপোর্ট।
চলমান হোম অফিস: ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক কার্যক্রমই চলছে অনলাইনে। করোনার কারণে বেশিরভাগ অফিসই এখন চলছে ঘরের মধ্যে থাকা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন অনলাইনের মাধ্যমে। একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, গতবছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা হোম অফিস শুরু করি। তবে মাঝে কিছুদিন করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আবার ফিজিক্যাল (স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে) অফিস শুরু করেছিলাম। তবে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের সকলেই হোম অফিস শুরু করেছি। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহেদ বলেন, অনলাইনের কারণে হোম অফিসে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ফিজিক্যালি যেসব কাজ করতাম ঘরে বসেই সেগুলো করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।