স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার জামিন প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন দেন। ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। তারা আরো বলেন, এর আগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা সবক’টি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন তানভীর আহমেদ আল আমিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। আদেশের পর তানভীর সাংবাদিকদের বলেন, আদালত মাহমুদুর রহমানকে জামিন দিয়েছে। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলাতেই জামিন হল। মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, আমরা হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে যে কোনো সময় বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজসে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
এই মামলায় চলতি বছর ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো এবং ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত সেদিন পরে ২৫ এপ্রিল এ আবেদনের শুনানির দিনধার্য করেন। মাহমুদুর রহমানের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন মাহমুদুর রহমান।
হাইকোর্ট তার জামিন প্রশ্নে এর আগে রুল জারি করেছিলেন। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়াও বিভিন্ন আইনে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৭০টি মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মাহমুদুর রহমান কারাগারেই আছেন।