Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে মুরগির বাজার চড়া

সঙ্কটের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে সব ধরনের মুরগির দাম আরেক দফা বেড়েছে। প্রায় ২ মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের মুরগির দাম ইতোপূর্বে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ হারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরেক দফা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে কক মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি সঙ্কটের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পুরান বাজারের মায়ের দোয়া মুরগির দোকানের ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম লস্কর বলেন বলেন, গত শুক্রবার ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করেছি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। তা ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়া লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২৪০, কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০, সোনালী মুরগি ৩৫০ এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সামনে সরবরাহ বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা আছে।
কুলপদ্দি বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাবুল মিয়া জানান, বড় বাজার, পুরানবাজারের চেয়ে এলাকার বাজারে দাম আরও বাড়তি। গত শনিবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি ১৬৫ টাকা কেজি, যা শুক্রবার ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বেশি বেড়েছে লেয়ারের দাম। লাল মুরগি আজ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত বৃহস্পতিবারও যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা ছিল। খুচরায় দাম বাড়ানো হয়নি। এবার রোজার অনেক আগেই দাম বাড়তি। এ সময় গরুর গোশতের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এবার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় মুরগির সরবরাহ নেই বাজারে।
পুরানবাজারে আগত ক্রেতা মো. রহিম উদ্দিন বলেন, এগুলো ব্যবসায়ীদের অজুহাত। গরুর গোশত কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে দাম বাড়ানো হয়েছে। রমজানকে সামনে আরেক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। যেসব ব্যবসায়ী জনগণকে জিম্মি করে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ায়, তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
মাদারীপুর পোল্ট্রি খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন বেপারী বলেন, মাদারীপুরে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য কোন হ্যাচারি নেই। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগির বাচ্চা এনে লালন পালন করতে হয়। তাছাড়া বাজারে মুরগির খাবারের দাম বেশি। যে কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণে মুরগির দাম স্বভাবতই বেশি। সরকারও বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করায় দামের ব্যাপারে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা। বর্তমানে জেলায় ব্রয়লার ৪০০টি, লেয়ার ৪০টি এবং সোনালী ৩০০টি ফার্ম রয়েছে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আনোয়ারুল হক বলেন, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ থেকে মুরগি আমদানি করতে হয়। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং করোনার প্রভাবে মুরগির সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জাতের মুরগির দাম কিছুটা বেশি। তবে মাদারীপুরে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারি তৈরীসহ মুরগি উৎপাদনে প্রজেক্ট করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ