Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাড়াশে প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে সরকারিভাবে মেয়েদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলার লক্ষে মেয়েদের সেলাই ও বøক বাটিক প্রশিক্ষণের ফ্রি কোর্স চালু করা হয়। কিন্তু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাসরিন ও প্রশিক্ষক শিল্পী খাতুনের স্বেচ্ছাচারীতায় অফিস সহায়করা নিজেদের পছন্দ মতো লোকজনদের প্রশিক্ষণে তালিকাভুক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক শিল্পী খাতুন নিজেদের এজেন্ট নিয়োগ করে জনপ্রতি ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়ে নামমাত্র যাচাই বাছাই করে। তারা তাদের মনোনীত লোকদের সেলাই ও বøক বাটিক ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নতুন ১১৫ জন আবেদনকারীর প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে ভর্তি ফি নিয়েছে। এদের মধ্যে স্বজনপ্রীতি ও টাকার বিনিময়ে নিজেদের লোক নিয়েছেন প্রশিক্ষণের জন্য। অথচ আসন সংখ্যা ৫০ জন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক শিল্পী খাতুন সরকারি বিধি ব্যবস্থাকে অবমাননা করেই নিজ ক্ষমতায় প্রতি ব্যাচেই অনিয়ম করছেন। এমন অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের।

সূত্রে জানা যায়, আইজিএ প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের অধীনে এই প্রশিক্ষণ ৩ মাসের জন্য প্রতি ব্যাচ এ বøক বাটিক ২৫ জন ও রাজস্ব খাতের সেলাই ৩০ জনসহ মোট ৫০ জনকে যাচাই করে প্রশিক্ষণ চালু করে থাকে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদন ফরম এর ফি নেয়া সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও অবৈধভাবে ১০০ টাকা হারে আবেদনকারী ১১৫ জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে আবেদন ফি বাবদ।
অভিযোগকারী হান্না খাতুন, রিমা খাতুন, শাপলা ও ফাতেমা আক্তারসহ অনেকেই বলেন, আমরা মোট ১১৫ জন মেয়ে আবেদন করেছি। তার মধ্যে যাচাই করে ৫০জন মেয়েকে নেয়া হয়েছে সেলাই ও বøক বাটিক প্রশিক্ষণের জন্য। এ বিষয়ে প্রশিক্ষক শিল্পী খাতুন বলেন, এ বিষয়ে কিছু লিখেন না। আপনার সাথে কথা পরে বলবো।

তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) খাদিজা নাসরিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গিয়ে বলুন। তিনি যাকে পছন্দ করছে তাকে নেয়া হয়েছে। এই বলে ফোন কেটে দেন। সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. কানিজ ফাতেমা বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ