পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরের সিঁড়ি থেকে রাজউকের রাস্তার সাথে সংযোগকারী নির্মিত রাস্তাটির সাথে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানটির ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রাস্তাটি দখল করে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করেছে এবং মুসল্লিদের চলাচলের পথটিতে গাড়ি, ভ্যানগাড়ি ইত্যাদি যত্রতত্র রেখে অবরূদ্ধ করে চাঁদা আদায় করে চলেছে। ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা, ভ্যানস্ট্যান্ড করে মাসিক ভাড়া চালু করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছে। এসব কারণে মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের পরেও একই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় রাস্তাটি এখন বেদখলপ্রায়। এতে একদিকে যেমন মুসল্লিগণের চলাচল দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অপরদিকে রাস্তার দুপাশের ফুটপাথের মধ্যে ছোটো ছোটো টোঙ বানিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। গুটিকয়েক সন্ত্রাসী যুবক মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সরকারী দলের নাম ভাঙিয়ে নির্বিঘেœ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ফলে উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় মুসল্লিগণ মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পরেন। সন্ধ্যার পর এখানে হিরোইন ও মাদকসেবীদের আসর ও খুপরিঘরে এবং ভ্যানের নিচে শুরু হয় অসামাজিক কাজ। ফলে মসজিদ এলাকার পবিত্রতা দারুণভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও ইফার ডিজি না জানার ভান করে এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছেন। এ অবস্থায় অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কার করে মুসল্লিদের চলাচলের পথ সুগম করার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।
এরশাদ সরকারের পর থেকে অদ্যাবধি কোনো সরকারের আমলেই বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরের সিঁড়ির পর থেকে বঙ্গভবন সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি দলবাজ, মাদক ও দেহ ব্যবসার দালালদের খপ্পর থেকে উদ্ধারে সঠিক কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমান ইফার ডিজি মোহাম্মদ সামীম আফজাল চলমান সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট খুৎবা, লিফলেট ছাপানো ও বিতরণের নামে প্রায় কোটি টাকা খরচ করলেও মসজিদের পূর্ব গেটের রাস্তাটি উদ্ধার ও মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব থাকায় দলবাজ, সন্ত্রাসী, হেরোইন, গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী এবং দেহ ব্যবসার দালালদের স্বার্থই রক্ষিত হচ্ছে। ফলে মুসল্লিদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি উপক্ষিয়ই থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মুসল্লিদের স্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণ রাস্তা এবং পূর্ব গেটের সামনের অংশ মেরামত করা অতি জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।