পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশনা মেনে লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।
এদিকে সরকারি দিকনির্দেশনাসহ কঠোর স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনেই দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা তৈরি পোশাকখাতের কারখানা খোলা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
অন্যদিকে সব কারখানাগুলোকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে ইতোমধ্যে সদস্যভুক্ত কারখানাকে ১৬টি দিক নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ। সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিজিএমইএ’র নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- কারখানা ছুটি বা খোলার সময়ে গেইট বা কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে কারখানা প্রবেশ ও কারখানা ত্যাগ করার বিষয়ে এক সঙ্গে না করে একে একে করা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ পথের ব্যবহার নিশ্চিত করা। সম্ভাব্যক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা বিভিন্ন শিফটে নির্ধারণ করা। ফ্লোরে বা কাজের স্থানগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা। দুপুরের খাবারের বিরতি বা অন্যান্য বিরতি একসঙ্গে না করে যথাসম্ভব ভাগ ভাগ করে করা। কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শ্রমিকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। কারখানায় সকলের দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাত পরিষ্কারক সামগ্রী রাখা। পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবানের ব্যবস্থা করা এবং কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সকল শ্রমিককে জীবাণুমুক্ত করা। হাত ধৌতকরণ স্থান বা পানির কলের মধ্যে ন‚ন্যতম এক মিটার দূরত্ব রাখা। জীবাণুমুক্তকরণের পদ্ধতি দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করা, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া। হাত ধোয়ার পর শুকানোর জন্য ড্রায়ার বা টিস্যুর ব্যবস্থা রাখা। সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা। কারখানার বাইরে সভা-সমাবেশ, গণপরিবহন বা ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎসাহিত করা। করোনা উপসর্গ বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করা। একই সঙ্গে বিজিএমইএ’র ফ্যাক্টরি ওপেনিং প্রটোকল কঠোরভারে অনুসরণ করা।
ড. রুবানা হক বলেন, প্রতিটি কারখানা চলবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে। শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। এ নিয়ে আমাদের দিকনির্দেশনা কারখানা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সারাদেশে লকডাউনের কথা জানান। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের চলাফেরা যাতে কমাতে পারি সেজন্য আমরা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিচ্ছি। আমাদের জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকরা কাজ করেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে তো আবার গত বছরের মতো শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার ঢল শুরু হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।