পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ যখন বাড়ছে আর বিশেষজ্ঞরা সব ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধের কথা বলছেন তখন ঠিক এই সময়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি থাকলেও শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করেই কেন্দ্রে ঢুকেছেন; বাইরে ভিড় করেছেন অভিভাবকরাও। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, এবছর মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। করোনার কারণে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যুর সংখ্যা ছিলো ৫৫টি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে সম্প‚র্ণ ভিন্ন। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা অধিকাংশ মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও এটা সবাই করেছেন তা বলা যাবে না। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেককেই দেখা গেছে মাস্ক খুলে বসে থাকতে। সামাজিক দূরত্ব বা সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে তেমন কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি। মাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও কাউকে নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো আলামত চোখে পড়েনি। গায়ে গায়ে লেগে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। খুব কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিভাবকরাও।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিন-সংলগ্ন প্রধান গেটটি বন্ধ রেখে শুধু পকেট গেট খোলা রাখা হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সরু পকেট গেট দিয়ে ঠেলাঠেলি করে বের হতে দেখা গেছে। পাশেরই উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা শুরুর আগে-পরে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচন্ড ভিড় ছিল। মাস্ক ছাড়া মানুষের অভাব ছিল না কেন্দ্রগুলোতে।
রাজধানীর বকশীবাজারে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরেও প্রচন্ড ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অভিভাবকদের। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করাতে দেখা যায়নি। শুধু তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে শিক্ষকদের হাতে এক বোতল করে স্যানিটাইজার দেওয়া ছিল। লম্বা বেঞ্চের দুই প্রান্তে দুজন করে পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়েছিল। কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে দেয় নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানার, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিনসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি এবং শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত; দেশের ৪৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরো ৬ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গত বছর নেয়া যায়নি। এ অবস্থায় সংক্রমণ কিছুটা কমলে গত ৮ ফেব্রæয়ারি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর সাতটি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়নি।
পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও রাজশাহীর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরে কেন্দ্রগুলোর ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের ঠাসাঠাসি দেখা গেছে।
রাজশাহী কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর আবদুল খালেক বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নিয়েছে। তারা শুধু রাজশাহী কলেজের ভবন ব্যবহার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।