Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে লোহার খনির সন্ধানে জরিপ কার্যক্রমের উদ্বোধন

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৯ পিএম

শুক্রবার বিকেল থেকে দিনাজপুরের চিরিরিবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় লোহা খনির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জরিপ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ খনিজ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা ড. মোঃ শের আলী। আগামী দুই থেকে আড়াই মাস মাটির গভীরে ড্রিলিং এর মাধ্যমে জরিপ কার্য পরিচালনা করা হবে। এজন্য চিহ্নিত স্থানে জরিপের সাথে জড়িত প্রকৌশলী ও কর্মীদের অস্থায়ী আবাসের ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এর আগে হাকিমপুর উপজেলার ইশবপুুরে প্রাপ্ত লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বের হয়ে এসেছে উন্নতমানের আকরিক লোহা। খনি কার্যক্রম শুভ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসুক গ্রামবাসীরা ভীড় করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ।
খনির জেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করা দিনাজপুর জেলা শহর সংলগ্ন চিরিরবন্দর উপজেলায় নুতন লোহার খনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিশ্চিতভবে কিছু না বলে জানান, এটা একটি নিয়মিত কার্যক্রম। তিনি জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দুই হাজার ফুট পর্যন্ত জরিপ কার্যক্রম চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। প্রাথমিক জরিপের পর প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে। আশাব্যঞ্জক খনিজ পদার্থ পাওয়া গেলে এলাকার মানুষদের ভয়ের কোন কারন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সরকার ক্ষতিপূরন দিয়ে জমি অধিগ্রহন করবে। আর খনিজ পদার্থ পাওয়া গেলে তথা খনি হলে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি দেশ উপকৃত হবে। উদাহরণ হিসাবে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৫টি কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই খনিগুলিতে থাকা কয়লা দিয়ে পঞ্চাশ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন (পাথর) শিলা প্রকল্প দুটি থেকে দেশের প্রথম খনিজ পদার্থ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত তা চলমান রয়েছে। সম্ভাবনাময় ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর পর বাংলাদেশ বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)’র সার্বিক অনুসন্ধানে নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা খনির জরিপ শেষে খনিটিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অজ্ঞাত কারনে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু’র আগে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কিনা তথা ফাইনাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ভারতে কর্মরত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এর পর পরই শুরু হয় হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুরে লোহার খনির অনুসন্ধান কার্যক্রম। জিএসবি’র নেতৃত্বে দক্ষ দেশী প্রকৌশলীরা বের করে আনেন উন্নতমানের আকরিক লোহা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে ৩০ ফুটের মধ্যেই খনিজ দ্রব্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এখনই চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না যে এখানে মাটির নিচে কি আছে। তবে জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের মুখে আশার কথা ফুটে উঠেছে।

একটি সুত্র মতে চিরিরবন্দরে কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসাবে রয়েছে জিএসবি’র উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী মোঃ নিহাদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উদ্বোধন

৭ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ