বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সপ্তাহের অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবার এবং শনিবার খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকে। মূলত চাকরিজীবীরা এই দুই দিন বন্ধের হিসেব করে খাগড়াছড়িতে ঘুরতে আসেন।
এই দুই দিন সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাগড়াছড়ির প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বর কিংবা নারিকেল বাগান থেকে মহাজন পাড়া পর্যন্ত কাউন্টার পাড়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মত।
তবে শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালের চিত্রটা ভিন্ন ছিলো। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন স্পট। যা আগামী ১৪দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। যার কারণে কোনো পর্যটক আসেনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্ক, মায়াবিনী লেকসহ জেলার অন্য কেন্দ্রগুলো পর্যটক শূন্য রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে প্রবেশ পথ। সব পর্যটন কেন্দ্র এখন ফাঁকা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক পিজুস ত্রিপুরা বলেন, স্বাভাবিক দিনে সপ্তাহজুড়ে পর্যটক থাকলেও শুক্রবার ও শনিবার এক থেকে দেড় হাজার পর্যটক আলুটিলা ঘুরতে আসে। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আলুটিলা প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। নতুন নির্দেশনা পেলে খোলা হবে।
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক। এটি রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সকল পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সাজেক প্রবেশও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই এই পথে চলাচলরত সকল পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাজেক কাউন্ডটারের ব্যবস্থাপক মো. আরিফ জানান, দুটি পরিবহন সমিতির কাছে প্রায় ৪০০টির মত পিকআপ এবং চাঁদের গাড়ি রয়েছে। অধিকাংশ গাড়ি সাজেক চলাচল করে। সাজেক বন্ধ ঘোষণা করায় আপাতত এই পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে মালিক, চালকসহ ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা ভোগান্তিতের পরবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, সমিতির আওতায় জেলায় মোট ২৬টি হোটেল রয়েছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর হোটেলগুলোতে পর্যটকদের সব বুকিং বাতিল করা হয়েছে। অনেক হোটেল ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। জরুরি যে সব লোকজন থাকছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার (৩১ মার্চ) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪দিনের জন্য জেলার সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গেল বছরের ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জেলায় পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ২৮ আগস্ট প্রায় পাঁচ মাস পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।