Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত আসামি মারা গেছে

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ৩:৫১ পিএম

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত একাধিক মামলার আসামি রুবেল শাহ্ মারা গেছেন।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানী ঢাকার মিরপুর সড়কের শ্যামলী এলাকার রেমেডি কেয়ার নামে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃতের পারিবারিক সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় পুলিশের তালিকায় একাধিক মামলার আসামি রুবেল শাহ্কে গ্রেপ্তার করতে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়ায় অভিযান চালায় একদল পুলিশ।

সে সময় পুলিশ দাবি করেছিল, আসামি রুবেল শাহ্কে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর চাকু নিয়ে হামলার চেষ্টা করেন তিনি। এতে আত্মরক্ষায় পুলিশ পিস্তলের গুলি ছুড়লে তাতে রুবেল শাহ্ আহত হন।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের নজরুল শাহ ছেলে মো. রুবেল (৩০), প্রকাশ রুবেল শাহ্‌র বিরুদ্ধে জেলার হাইমচরে বিগত ২০১৮ সালে সফরকালে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি প্রদানের ঘটনায় (জি আর ৭/১৮) এবং একই থানায় ডাকাতির ঘটনায় জি আর ৬৮/১৩, জি আর ৯৫/১৮, জি আর ২৪৯/১৮সহ মোট ছয়টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এসব মামলার প্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে রুবেল শাহ্কে ধরতে গেলে পুলিশের ওপর চাকু দিয়ে হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন রুবেল শাহ্। তবে পুলিশের দাবি, আসামি রুবেল শাহ্‌র হামলায় এই অভিযানে অংশ নেওয়া এএসআই জামশেদ ও এএসআই শফিক নামে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেল শাহ্কে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সবশেষ গুরুতর আহত রুবেল শাহ্কে মিরপুর সড়কের শ্যামলী এলাকায় রেমেডি কেয়ার নামে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত রুবেল শাহ্‌র ছোটভাই মুরাদ শাহ্ অভিযোগ করেন, তার ভাইকে বিনা কারণেই পুলিশ গুলি করেছিল। যে কারণে এখন ভাই মারা গেছেন। তিনি আরো জানান, রুবেল শাহ্‌র পিঠের ডান পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে বুকের সামনে দিকে বের হয়ে যায়। তার দাবি, রুবেল শাহ্’র বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দুটি মামলা ছিল। সেগুলোও নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য মামলা সম্পর্কে মুরাদ শাহ্ কিছুই জানেন না বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মৃত রুবেল শাহ্ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সফিকুর রহমান সমর্থিত যুবলীগ কর্মী ছিলেন।

এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও পুলিশের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজই গ্রামের বাড়িতে মৃত রুবেল শাহ্‌র লাশ নিয়ে আসা হবে।

এছাড়া ওই সময় পুলিশ রুবেল শাহ্কে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে কেনো গুলি ছুড়েছে- এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) কাজী আব্দুর রহীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ