পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সম্প্রতি হঠাৎ করে দেশে চাল, ভোজ্যতেল, আটা, শুকনো মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের মূল্য আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। ভবিষ্যতে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথাও বলেন মন্ত্রী। গতকাল জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের প্রশেড়বর জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশেড়বাত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সংরক্ষিত আসনের আদিবা আনুম মিতার প্রশেড়বর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর নিত্যপণ্যের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখা যায়। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
সরাকর দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম সরোয়ার জাহানের প্রশেড়বর জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব থেকে নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলে তামাক মদ ও মাদক জাতীয় ২৫টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য এসএএফটিএ’র আওতায় ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭২ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা আরও যুগোপযোগী করে সংশোধনপূর্বক ২০১৫ সালে নবায়ন করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দুই দেশের বাণিজ্যচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৭১ কোটি টাকা এবং ভারতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৫ দশমিক ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া) যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের সুবিধায় রেখে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অধিকতর বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত গ্রহণ করা হয়েছে। স্থল বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি রেলপথে পণ্য পরিবহনে সহায়তা বৃদ্ধি এবং তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।