বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
রাজু আহমেদ
পরনির্ভরশীলতা হ্রাস পেলে যে স্বনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত আজকের বাংলাদেশ। কোরবানির ঈদ উপস্থিত হলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত থেকে গরু আমদানি ছাড়া স্বাভাবিক ও সুচারুরূপে কোরবানি সমাপ্ত করার চিন্তাই করা যেতো না। অথচ ২০১৬ সালে ঠিক বিপরীত চিত্র গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। গরু নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে বরং বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হলো। পশু উৎপাদন ও লালন করে অভ্যন্তরীণ চাহিদার সাথে জোগানে সমন্বয় সাধনের চেষ্টায় দেশের খামারিরা আশার ফুল ফুটিয়েছেন। ভারতীয় গরুর জন্য দেশের বাজারগুলোতে আর হাহাকার নেই, বরং দেশে উৎপাদিত গরুসহ অন্যান্য পশুতে দেশ স্বনির্ভর হওয়ার পর্যায়ে উন্নীত। আগামী দু’বছরের মধ্যে এ দেশে উৎপাদিত গরুসহ অন্যান্য পশু দেশের বাজারের পশুর চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে। পশু পালনের প্রতি সরকারের সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং পশু খামারিদের উৎসাহ দেখে আশা করা যায়, সে সুদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড ভারতের গরু বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে দেবে না বলে কঠোর অবস্থান দেখাবে। এটা যেদিন সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে সেদিন হবে বাংলাদেশের পক্ষ ভারতের নিন্দনীয় আচরণের সমুচিত জবাবের দিন। দেশে গরুসহ অন্যান্য পশু উৎপাদনের বিপ্লব দেশবাসীকে আবার নতুন স্বপ্নে বিভোর করেছে। আবারও প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা। শুধু প্রেরণা ও প্রেষণার সমন্বয় ঘটলে বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং অনুকূল পরিবেশে অসাধ্য বলে কিছুই নেই।
সাংবিধানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা গরু নিয়ে নানা তেলেসমাতি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রকাশ করতে থাকে। আইন করে ভারতের একাধিক রাষ্ট্রে গরু জবেহ নিষিদ্ধ, কঠোর শাস্তির বিধান, সারা ভারতজুড়ে গো-হত্যা ও গো-মাংস ভক্ষণের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা, গো-মাংস বহনের অভিযোগে মানুষ হত্যা এবং সীমান্তপথে বাংলাদেশে গরু প্রেরণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অবশ্য ভারত বৈধভাবে কখনোই বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করেনি। অতীতে গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এবং বিএসএফর সহযোগিতায় দু’দেশের যোগসাজোশে পাচারের পর সীমান্ত বাজারে তা বিক্রি হওয়ার পর বৈধ হয়ে যেতো। তবে এজন্য বাংলাদেশের মানুষকে কম নির্মমতার সাক্ষী হতে হয়নি। গরু চোরাচালানির অপবাদ তুলে সীমান্তে শত শত নিরীহ-নিরাপরাধ বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে বর্বরোচিতভাবে জখম ও পঙ্গু করেছে বিএসএফ এবং ভারতীয়রা। বিশ্বের চরম শত্রুভাবাপন্ন দেশের সীমান্তেও যতটা কড়াকড়ি নেই তার চেয়ে বেশি কড়াকড়ি পালন করা হচ্ছে বাংলাদেশের কথিত বন্ধুপ্রতীম ভারত রাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। হুঙ্কার দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গাও কাঁটাতার মুক্ত থাকবে না। কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশে গরু না আসতে পারে তার জন্য দড়ি টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়তো তারা জানেই না, ভারতের একটি গরুও যদি বাংলাদেশে না আসে তবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মানুষের কোরবানি আটকে থাকবে না।
গরুকে গো-মাতা জ্ঞানে ভারতীয়রা গো-হত্যা বন্ধ ও গো-মাংস ভক্ষণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা কি তাদের ধর্মীয় বিধান, নিছক কুসংস্কার নাকি মুসলিম সম্প্রদায় গরু ভক্ষণ করে তাই তাদের সাথে বৈপরীত্য প্রদর্শনের হেতুতে? বেশ কিছু যুক্তি, হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের উদ্ধৃতি এবং অতীতের হিন্দু মুনি-ঋষিদের জীবন দর্শনের কথা বিবেচনা করলে বিজেপি নির্ভর উগ্র ও কট্টর ভারতীয় হিন্দুদের যুক্তি ধোঁপে টেকে না। গরুকে গো-মাতা উপাধি দিয়ে ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করবে না, ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গো-হত্যা পাপ ও গো-মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছে অথচ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থা (ইউএডিএ) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এ বছরও ব্রাজিলকে দ্বিতীয় স্থানে রেখে গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানটি নিজের জন্যই রেখেছে ভারত। প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৫ অর্থবছরে ভারত ২৪ লাখ টন গরুর মাংস রপ্তানি করেছে। ২০১৪ সালে গরুর মাংস রপ্তানি করে ভারতের আয় ছিল ৪.৮ বিলিয়ন ডলার। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলোতেও গরুর মাংস খাওয়ার বৈধতা আছে। উপনিষদে বলা আছে, ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবান সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরি’। সূত্র : বেদ; ২য় প্রকাশ, পৃঃ ১৩,৬৭; হরফ প্রকাশনী, কলিকাতা। জরমাবফধ (৬/১৭/১) ংঃধঃবং ঃযধঃ, দওহফৎধ ঁংবফ ঃড় বধঃ ঃযব সবধঃ ড়ভ পড়,ি পধষভ, যড়ৎংব ধহফ নঁভভধষড়.’ হিন্দুরা যাকে ঈশ্বরের মানসপুত্র মনে করে সেই স্বামী বিবেকানন্দ তার বিখ্যাত গ্রন্থ ঞযব পড়সঢ়ষবঃব ড়িৎশং ড়ভ ংধিসর ঠরাবশধহধহফ, াড়ষ. ৩ ঢ়.৫৩৬ এ লিখেছেন, ণড়ঁ রিষষ নব ংঁৎঢ়ৎরংবফ ঃড় শহড়ি ঃযধঃ ধপপড়ৎফরহম ঃড় ধহপরবহঃ ঐরহফঁ ৎরঃবং ধহফ ৎরঃঁধষং, ধ সধহ পধহহড়ঃ নব ধ মড়ড়ফ ঐরহফঁ যিড় ফড়বং হড়ঃ বধঃ নববভ.’ হিন্দুরা গরুকে পবিত্র গো-মাতা বলে থাকেন। গরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে বলে তাদের দৃষ্টিতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ। তবে আজব হলেও সত্য যে, গরুর চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করে তা ব্যবহারে কোনো বিধি-নিষেধ হিন্দুরা মানেন না। তাছাড়া গরুকে গো-মাতা বললে তাতে শুধু গাভী শ্রেণীর গরুই সাব্যস্ত হওয়ার কথা। ষাঁড়গুলো কীভাবে মাতার শ্রেণিতে পড়ে তাও বোধগম্য নয়। ঐতিহাসিক দলিল পত্র অনুযায়ী, বৌদ্ধযুগের আগ পর্যন্ত হিন্দুরা গো-মাংস ভক্ষণ করতো। সাহিত্য সংহিতা-৩য় খ-ের ৪৭৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, ব্যাসঋষী স্বয়ং বলেছেন, ‘রন্তিদেবীর যজ্ঞে একদিন পাচক ব্রহ্মগণ চিৎকার করে ভোজনকারীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, মহাশয়গণ! অদ্য অধিক মাংস ভক্ষণ করবেন না, কারণ অদ্য অতি অল্পই গো-হত্যা করা হয়েছে; কেবলমাত্র ২১ হাজার গো-হত্যা করা হয়েছে।’ বৌদ্ধযুগের পূর্ব পর্যন্ত হিন্দুর যে প্রচুর গরুর গোশত ভক্ষণ করতেন তা ডা. রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত ইববভ রহ ধহপরবহঃ ওহফরধ গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত ‘সোহং গীত’, সোহং সংহিতা, ‘সোহং স্বামী’ গ্রন্থগুলোতে, আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রয়ের ‘জাতি গঠনে বাধা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে। ভারতবর্ষে বৈদিক ধর্মের অনুসরণকারীদের বৌদ্ধ পূর্ব যুগে রেওয়াজ ছিল, মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ণ থেকে যেতো। হিন্দুদের গো-মাংস খাওয়ার পক্ষে এতসব প্রমাণ থাকার পরেও তার গো-মাংস ভক্ষণ করেন না কেন? এটা কি শুধু মুসলিমরা গরুর মাংস খায় বলে? নাকি শুধু বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা। অবশ্য কেউ কেউ মনে করেন, সাধারণ হিন্দুরা তাদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে না। ব্রাহ্মণ, পুরোহিতদের কথাকেই তারা শাস্ত্রীয় বাণী বলে বিশ্বাস করে। ব্রাহ্মণ, পুরোহিতরা গো-হত্যাকে পাপ বলে প্রচার করার কারণেই হয়তো ভারতে এ বিষয়ে কিছুটা কুসংস্কার চলছে।
যাইহোক, গরু নিয়ে ভারত যতই তেলেসমাতি করুক না কেন, সেটা যে বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হয়েছে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। সারা বছর গরুর মাংসের চাহিদা থাকলেও কোরবানির সময় বহুগুণে বেড়ে যায় গরুর চাহিদা। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মাংস ব্যবসায়ীদের হিসেবে দেশে বছরে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখের মতো গরু ও মহিষ জবাই হয়। এর ৬০ শতাংশই হয় কোরবানিদের ঈদে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুধু কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে কোরবানির পশু, পশুর চামড়াসহ অন্যান্য খাতে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা চার কোটি ৯০ লাখ। এরমধ্যে গরু ও মহিষ দুই কোটি ৩৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া দুই কোটি ৫৫ লাখ। এ বছর কোরবানির উপযোগী এক কোটি ৫ লাখ পশু রয়েছে। গরু কুসংস্কারের জালে আছন্ন ভারতের অসহযোগিতার কারণে এ বছরের কোরবানিতেও দেশে সামান্য কিছু পশুর ঘাটতি হয়তো থাকবে তবে আগামী দু’এক বছরের মধ্যে দেশে পশুর জোগান চাহিদাকেও ছাপিয়ে যাবে। কেননা সরকার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে লাখ লাখ বেকার যুবককে পশু লালন-পালন সম্পর্কীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, মাত্র ৫ শতাংশ সুদে তাদেরকে ঋণ দিচ্ছে এবং দেশের মানুষ বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, যশোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাজার হাজার খামারে পশুর উৎপাদন ও লালন-পালন হচ্ছে। ভারত থেকে যে গরুগুলো বাংলাদেশে আসতো সেগুলোকে মোটাতাজাকরণের জন্য স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন খাওয়ানো ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পশুর শরীরে পুষ করা হতো। যে পশুগুলোর মাংস ভক্ষণ করে প্রজন্ম গর্ভ ধারনের ক্ষমতা হারাতে বসেছিল। অথচ দেশের অভ্যন্তরে পশু মোটাতাজাকরণের জন্য স্বাস্থ্যকর ও উপকারী ভিটামিনের প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা পশুর জন্য যেমন উপকারী সম-উপকারী মানবদেহের জন্যেও। দেশে উৎপাদিত পশুর মাংস ভক্ষণে কোন পার্শ্ব¦-প্রতিক্রিয়া থাকছে না বলেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ আশ্বাস দিয়েছেন।
বিভিন্ন অঙ্গনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের চাহিদা মাফিক পশু উৎপাদনে দেশ অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করতে পারবে, যদি সরকার আরেকটু আন্তরিক হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পশু উৎপাদন ও লালনের খামারগুলোর জন্য সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা রেখেছে। অথচ আমাদের দেশে ভর্তুকির সে অর্থে ব্যবস্থা রাখা হয়নি অধিকন্তু দেড় লাখ টাকার বেশি আয় হলে পরবর্তী আয়ের অংক থেকে শতকরা ১০ ভাগ দিয়ে লগ্নিপত্র বা সরকারি বন্ড খাতে বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় তবে অগ্রযাত্রা পথে এটাকে সাময়িক শিথিল করলে ব্যবসায়ীরা আরও অনুপ্রাণিত হবে, যা পশু উৎপাদনের মাত্রাকে বেগবান করতে সাহায্য করবে। পশু খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার উদ্যোক্তাদের ৫ শতাংশ হারে সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। সুদের এ হারকে আরও কমিয়ে আনলে হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার পশু খামার প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হবে এবং ভরসা পাবে। গরু নিয়ে ভারতের হঠকারিতায় বাংলাদেশের সামনে যে অপূর্ব সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে হবে এবং ভারত থেকে গরু আমদানির চিন্তা মাথা থেকে দূর করে স্বনির্ভর হওয়ার পরিকল্পনাকে এগিয়ে হবে। সরকার এবং উদ্যোক্তাদের মেলবন্ধন দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে পারে। কোরবানির সময় লাখ লাখ পশুর চামড়া অবৈধভাবে সীমন্তপথে ভারতে পাচার হয়। এটা বন্ধে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রাখছি। দেশের কল্যাণে যে সেক্টরে যা করা উচিত সেটা যখন রাষ্ট্রের পরিচালকগণ করতে সক্ষম হবেন তখন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে। এ দেশ গঠনের জন্য যে সম্পদ দরকার তা দেশের রয়েছে। এবার শুধু পরনির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল হলেই আমরা পারবো, পারতে আমাদেরকে হবেই।
য় লেখক : কলামিস্ট
ৎধলঁ৬৯ধষরাব@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।