পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ যেন সব বৈধতার সাইনবোর্ড হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নো মাস্ক নো সার্ভিস চালু করেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু অনেক অফিস, গণপরিবহন, দর্শনীয় স্থান, মার্কেট, বিপনি বিতানে নো মাস্ক, নো সার্ভিস সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। যে কেউ সার্ভিস পাচ্ছেন, যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভীড় ঠেলে সার্ভিস নিচ্ছেন। উৎসব, অনুষ্ঠান, বউভাত, বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে ভীড় করছেন; অথচ মাস্ক পড়েন না বেশির ভাগই। শুধু তাই নয়, রাজধানীর বিপনি বিতান, মার্কেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোঁয়ার বাধ্যবাধকতা উধাও হয়ে গেছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ তথা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ২৯ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই ১৮ দফা নির্দেশনার কথা জানান। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। বরং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সবার মধ্যে এক ধরণের উদাসীনতা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক সিটে যাত্রী নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাসের মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধি করলেও স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। রাজধানীর কাঁচাবাজার, মার্কেট, পাবলিক স্পট, শপিংমল সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ভয়াবহভাবে বেড়ে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার গরজ কেউ দেখাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক। এ জন্য প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে হলেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা উচিত।
জানতে চাইলে গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে জাতিকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করা-বাধ্য করা, নিরীহ মানুষের খাদ্য সহায়তা করা যেতে পারে। এছাড়াও আরো কয়েকজন বলেছেন, করোনা মহামারি থেকে জাতিকে বাঁচাতে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিকল্প নেই। কিন্তু মানুষ এখনো অবুঝের মতোই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিয়ে-অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। গত বছরের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে বাধ্য করতে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কারণ দেশের মানুষ এখনো সেনাবাহিনীকে মানেন এবং ভরসা করেন।
পৌলবি বেগম। ৬ বছরের পৌলবি বাবা-মায়ের হাত ধরে হাঁটছে বইমেলায়। ওর চোখে মুখে এক অন্যরকম আনন্দ উচ্ছ্বাস। ছোট্ট শিশুটির পরনে লাল সবুজ সেলোয়ার-কামিজ। পৌলবির মতো এমন শত শত শিশু মা-বাবার হাত ধরে গতকাল বাংলা একাডেমির বইমেলায় এসেছে। বইমেলায় দর্শক সমাগম কম হলেও গাদাগাদি করেই চলাফেরা করছেন। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও হকার যারা বেলুন, পুতুল, বাঁশি আর খেলনা ঢোলের তালে শিশুদের মাতিয়ে তুলছেন; তাদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি নামছে না। করোনার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বইমেলা চালু থাকায় স্মরণীয় করে রাখতে বেশিরভাগ দর্শকই মেতে ওঠছেন সেলফি তোলায়। অনেকে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন। কেউবা পছন্দের লেখকের সঙ্গে সেলফি তুলছেন।
‘বর্জ্র আটুনি ফোসকা গেরোর মতোই’ সরকারের ১৮ দফা স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে বাধ্য করার হাকডাক। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানতে হুংকার দিচ্ছে; বাস্তবে কেউ সে হুংকার কর্ণপাত করছেন না। করোনার মধ্যে কর্মব্যস্ত মানুষের মধ্যে যারা বইমেলায় আনন্দ উচ্ছ্বাসের জন্য হাজির হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগেরই মধ্যে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। বইমেলায় ছেলে বুড়ো-বুড়ি সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে। কেউ পরিবার, কেউবা বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করছেন বইমেলা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।
প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বসবাস রাজধানী ঢাকায়। জীবনের তাগিদে প্রতিদিনই ছুটে চলা এসব মানুষের নেই পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা। বায়ুদূষণ, যানজট, শব্দদূষণ, খোঁড়াখুঁড়ি আর ধুলাবালিতে অতিষ্ট নগরজীবন। এ অবস্থায় রাজধানীবাসীর অনেকের কাছেই একটু শান্তি ও স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলার যায়গা বই মেলা, হাতিরঝিল। তাইতো স্বাধীনতার মাসের শেষ দিনে আনন্দ উপভোগ করতে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বইমেলায় এসেছেন। করোনা মহামারির বন্দিদশা থেকে বের হয়ে এসে খানিকটা ঘুরে বেড়ানোর জন্য, বুক ভরে নিশ্বাস নেয়ার হাজার হাজার মানুষ বইমেলায় ভিড় করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। কেউ কেউ অবশ্য করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও বইমেলা কেন চালু করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রহিম উদ্দিন নামের একজন বললেন, এক বছর ধরে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ উদ্যোগ। অথচ বইমেলা করোনা সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। বইমেলা কি মানুষের জন্য অপরিহার্য?
সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান : ‘দেশের সকল নাগরিককে প্রয়োজনে বাসার বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে’। সরকার নির্দেশিত ১৮ দফা কর্মসূচিতে প্রথমেই এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও নির্দেশনার প্রথম দফায় বলা হয়েছে, ‘সকল ধরণের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/ অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে /জন্মদিনসহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে’। বাস্তবতায় দেখা যায় করোনার মধ্যে অপ্রয়োজীয়ভাবে জন্মদিন পালিত হচ্ছে। রাজধানীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোর বুকিংয়ের দিকে তাকালেই এটা পরিস্কার বোঝা যায়। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানাদি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কম করলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পুলিশি বাধা নিষেধ না থাকায় নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। আর বিয়ে সাদির বিষয় আরো ভয়াবহ। রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনই বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার রাজধানীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। এসব বিয়ের অনেক অতিথি বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসেন; আবার অনেক বিয়ে ঢাকা থেকে জেলা শহরগুলোতে হয়ে থাকে। কিন্তু বিয়ে অনুষ্ঠানে মাস্ক পড়া বা স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা তেমন দেখাই যাচ্ছে না। ফলে বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেশি থাকে। সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা দেখালেও বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি নামার প্রবণতা কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের উচিত বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। জনসমাগম বেশি এমন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
চিড়িয়াখানায় ভিড় : রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ঢল। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব বয়স এবং শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর চিড়িয়াখানা। তবে উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। করোনা মহামারির মধ্যে সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে আসতে পেরে দর্শনার্থী ও শিশুরা ছিলেন ভীষণ উচ্ছ¡সিত। শিশু-কিশোরদের আনন্দ ছিল চোখেপড়ার মতো। দর্শনার্থীদের অনেকেই মাস্ক ছাড়া ভেতরে ঢুকেছেন। অনেকে সেলফি তুলছেন। বাইরে থেকে খাবার এনেও খেয়েছেন অনেকে। অথচ সেখানেও লেখা রয়েছে নো মাস্ক, নো সার্ভিস।
পদ্মা-যমুনা পাড় : কয়েকদিন আগে রাজশাহী শহরের পদ্মা তীর ও সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের যমুনার হার্ড পয়েন্ট, চায়না গেইট পয়েন্টে ভ্রমণ করেছি। ইনকিলাবের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম রাজু নিয়ে গেলেন রাজশাহী শহর সংলগ্ন বড়কুটি পদ্মা গার্ডেনে। সন্ধ্যা পেরিয়ে তখন এশার আজান হয়ে গেছে। তারপরও পদ্মাপাড়ে মানুষ আর মানুষ। বিশাল এলাকাব্যাপী পদ্মা গার্ডেনে তিল ধরনের ঠাই নেই। নদী পাড়ে যেন মানুষ মানুষের মাথা খাচ্ছেন। কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মুখে মাস্ক নেই; গাদাগাদি করে বসে গল্প করছেন, কেউ গানবাজনার আসর বসিয়েছেন। প্রবীণ সাংবাদিক রাজু প্রতিবেদককে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে বেকায়দায় পড়ে গেলেন। বাধ্য হয়েই একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেও সেখানেও প্রচন্ড ভিড় লেগে গেল। একই দৃশ্য চোখে পড়েছে লালন শাহ ব্রিজে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ে যে পর্যটকদের জন্য দর্শণীয় রাস্তা তৈরি করা হয়েছে; সেখানেও মানুষের প্রচন্ড ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু কারো মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা দেখা যায়নি।
কক্সবাজার : বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে এখন পর্যটকের প্রচন্ড ভিড়। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখর হচ্ছে সৈকতের বালুচর। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মাস্ক পড়া বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই বেশিরভাগ পর্যটকের মধ্যে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈকতের সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে নিয়মিতই মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকদের সচেতন করে চলেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন। জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মানা তথা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে কেউ মাস্ক বের করেন, একটু পরে সেই মাস্ক গড়াগড়ি খায় সৈকতের বালুতে। আর এই মাস্ক কুড়াতেই হিমশিম খাচ্ছেন সৈকতের অর্ধশত পরিচ্ছন্নতাকর্মী। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য কক্সবাজারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখানে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না।
প্রথম দফায় সেনা সহায়তা : ২০২০ সালে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ক্রমেই দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। অফিস আদালতও সীমিত পরিসরে চালু রাখা এবং রাজধানীর কিছু কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়। সে সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হয়। গত বছর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৬৪ জেলার ৬২টি জেলায় সেনাবাহিনী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কাজ করেছে। আর দুটি জেলায় কাজ করেছে নৌবাহিনী। তবে সেনাবাহিনীর সাথে আরো চার জেলায় নৌবাহিনী কাজ করেছে। ৬৪ জেলায় সব মিলিয়ে মোট ৫২৫টি দল কাজ করে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে যারা দেশে আসেন তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করে সেনাবাহিনী। তারা যাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে না মিশতে পারেন। জেলা প্রশাসনের যে ডেটাবেইজ ছিল সেটা দেখেই তারা কাজ করেছেন। সে সময় পুলিশ আরো কঠোর ছিল। ঢাকায় পুলিশের নিয়মিত টহলের বাইরে আরো ৫০টি চেকপোস্ট বসিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পথচারী ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণের সরকার না হলে যা হয় বর্তমানে সেটাই চলছে। সরকার ঠিক থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হতো। এই যে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হলো; এতে কি সংক্রমণ কমবে? বরং জনগণকে বেশি ভাড়া গুনতে হবে। সরকারের উচিত ছিল লং রুটের যে বাসগুলো দিনে বসে থাকে সেগুলো রাজধানীতে চালু করে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। সরকার সে দিকে যায়নি। আগে সরকারকে জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।