বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : আজ বুধবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোল্লারপাড় গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আহতরা হলো আব্দুস সামাদের স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৬৫), তার দুই ছেলে এরশাদ আলী (৩২), আরিফ মিয়া (২৮) ও দুই মেয়ে শিউলি খাতুন (৪০), স্বামী আজাহারুল ইসলাম, সমিরন (৪৫) স্বামী মোজাম্মেল হক এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৪০), হাজি মজিদ উল্লাহ’র ছেলে শাহ আলী (৬০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩০),এ ছাড়াও পবন আলীর স্ত্রী খুকি বেগম (৪৫)নুর মোহাম্মদের ছেলে সমশের আলী (৩০)মৃত হাজী মজিদউল্লাহর ছেলে আতশ আলী (৬০)চাঁন মিঞার স্ত্রী রহিমা বেগম ।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ি উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোল্লারপাড় গ্রামের আব্দুস সামাদের তারই ভাই প্রবন আলী ও সরবেশ আলীর আড়াই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এ বিষয়ে ওই গ্রামে একটি সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও নালিতাবাড়ি পৌরসভার মেয়র আবু বাক্কারের অনুরোধে সালিশ বৈঠকটি পিছিয়ে আগামী শনিবার সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে শালিস বৈঠক না হওয়ায় আব্দুস সামাদের ছেলে-মেয়ে ও মেয়ের জামাই সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন প্রবন আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় প্রবন আলী ও সরবেশ আলী গংরা ভাতিজা এরশাদ আলীসহ অন্যান্যদের উপর আগে থেকে ওত পেতে থাকা রামদা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রাণ ভয়ে দৌড়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি ও ডাক চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে এবং রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।