পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ইতোমধ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট (৩১ মার্চ, বুধবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশনাটি কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আগত ও বাংলাদেশ ত্যাগ করা প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিতে হবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো থেকে যারা আসবে তাদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা বেবিচক নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার অথবা নির্ধারিত হোটেলে থাকবেন। অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিমানবন্দর ও ফ্লাইটে সব যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া যেসব বিমানের প্রতি সারিতে সিট তিনটি করে, সেই ফ্লাইটের মাঝের সিটের যাত্রীকে মাস্কের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ফেসশিল্ড পরতে হবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ওয়াইড বডি বা বড় সাইজের এয়ারক্রাফটকে আগে সর্বোচ্চ ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এই সংখ্যা কমিয়ে ২৬০ করা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি ও বিজনেস ক্লাসের একটি সিট খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। অনেকেই মনে করছেন, এবারের সংক্রমণের সঙ্গে করোনার নতুন ধরনের যোগসূত্র রয়েছে। যার কারণে শনাক্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গেল জানুয়ারিতেই দেশে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের ব্যবধানে তা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। আগে যাদের মৃত্যু হতো তাদের বেশিরভাগই ছিল বয়োবৃদ্ধ এবং নানা রোগে আক্রান্ত। কিন্তু এখন সংক্রমণের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃতদের বেশিরভাগই যুবক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।