Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত থেকে আমদানি মেয়াদোত্তীর্ণ গম মান যাচাইয়ের বালাই নেই

আদমদীঘি (বগুড়) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

 বগুড়ার সান্তাহার শহরের প্রভাবশালী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজমেরী গ্রæপ ফের ভারত থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ, পোকা আক্রান্ত ও খাবার অযোগ্য গম আমদানী করেছে। গত তিন দিন ধরে সান্তাহার রেলওয়ে মালগুদাম খালাস পয়েন্টে প্রায় শতাধিক ভারতীয় ওয়াগান থেকে এসব গম খালাস করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বগুড়ার সান্তাহার আজমেরী ফ্লাওয়ার মিল এবং আজমেরী গ্রæপের মালিক রাকেস সাহা দেশীয় উৎস থেকে প্রাপ্ত গম দিয়ে আটা, ময়দা ও সুজি উৎপাদন করে আসছেন। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে দেশীয় গমের সঙ্কট ও দাম চড়া এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ না পাওয়ার অজুহাতে বিদেশ থেকে গম আমদানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় দফায় এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে খাবার অযোগ্য প্রায় শতাধিক ওয়াগন গম আমদানি করেছে। এলসি করা গম ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম সান্তাহার রেল মালগুদা পয়েন্টে খালাস করা হয়। এসব গম ওয়াগন থেকে খালাস করা হচ্ছে এমন সাংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে গমের মান দেখতে চাইলে সেখানকার লোকজন এতে বাধা দেন। গমের বস্তার ভেতরে-বাইরে কালো রংয়ের অসংখ্য পরিমাণ পোকা বিচরণ করতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রয়ারী মাসের ৮ তারিখে প্রথম দফা ৮৪ ওয়াগনে (দুই র‌্যাক প্রায় পাঁচ হাজার মেট্টিক টন) গম খালাস করা হয়। সাধারণ মানুষ পোকা আক্রান্ত গমগুলোকে খাবার অযোগ্য বলে জানালেও আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের লোকজন গম গুলো খুব ভাল মানের বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজনে আজমেরী গ্রæপের মালিক রাকেস সাহার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোনকল না ধরে কেটে দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ