পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেট্টোরেলের ৬টি কোচের প্রথম চালান দেশে আসছে আজ। এর মধ্যে ২টি ইঞ্জিন ও ৪টি বগি। জাপানের কোবে বন্দর থেকে এসব কোচ নিয়ে রওনা হওয়া বিদেশি জাহাজ এমভি এসপিএম গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকক বন্দর চ্যালেনে (বহির্নোঙ্গরে) প্রবেশ ও নোঙ্গর করে। শবে বরাতের ছুটি থাকায় জাহাজটিকে সেখানেই অপেক্ষায় থাকতে হবে। আজ দুপুর নাগাদ জাহাজটি মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দর জেটিতে অবস্থান নেবে।
বিদেশি জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিমশিপ কো. লি. এর মহাব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, মেট্রোরেলের কোচগুলো জাপানের কাওয়াসাতি হ্যাভি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লি. তৈরি করছে। আর এই কোচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লি. (ডিএমটিসিএল)।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে ১৩৮টি রেলওয়ে কার মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি, ছাড়করণ ও পরিবহণ করা হবে। প্রথম চালান নিয়ে আসা এমভি এসপিএম ব্যাংকক জাহাজটিতে মেট্টোরেলের অত্যাধুনিক ও মূল্যবান মালামাল রয়েছে। মোংলা বন্দরের জেটিতে বুধবার ভেড়ার পর বন্দরের ৯ নম্বর ইয়ার্ডে আমদানিকৃত রেলওয়ে কার খালাস করা হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের প্রথম সেট ট্রেনের নির্মাণকাজ শেষ হয় গত বছর। জাপানে আরো চার সেট ট্রেনের কাজ চলমান। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪ সেট ট্রেন বাংলাদেশে সরবরাহ করবে কাওয়াসাকি-মিৎসুবিশি। দাম, শুল্ক ও ভ্যাট মিলে ২৪ সেট ট্রেন বাংলাদেশে আনতে খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক সেট ট্রেনের দাম পড়ছে ১৭৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের ২৪ সেট ট্রেন সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট জাপানি প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি ও মিৎসুবিশির সঙ্গে চুক্তি করে ডিএমটিসিএল। একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় প্রকল্পের বাস্তব কাজ। আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি জাপানে শুরু হয় ট্রেনের বগি তৈরির কাজ। যাত্রীবাহী কোচ (কার বডি) তৈরির কাজ শুরু হয় একই বছরের এপ্রিলে।
কর্মকর্তারা জানান, কাওয়াসাকি-মিৎসুবিশির তৈরি করা ট্রেনগুলো চলবে দেড় হাজার ভোল্টের ডিসি বিদ্যুৎপ্রবাহে। যাত্রীবাহী কোচগুলোর বডি স্টেইনলেস স্টিলের। দুই পাশে বসার জন্য থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি বগিতে থাকছে চারটি দরজা। একেকটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো কেমন হবে, তার একটা ধারণা দিতে এরই মধ্যে দেশে আনা হয়েছে একটি ‘মক আপ’ ট্রেন। উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেল ডিপোর এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে ‘মক আপ’ ট্রেনটি স্থাপন করা হয়েছে। এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।