Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মতলবের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা

মাহবুব আলম লাভলু, মতলব (চাঁদপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চল দিয়ে গত বর্ষার শেষের দিকে মূল বাঁধের ১২৫ সেন্টিমিটার অংশ অনেক গভীর হয়ে ভেঙে যায়। ভয়াবহ মেঘনা নদীর স্রোত আমিরাবাদ বাজার ও ভাঙন এলাকা জনতা বাজার এলাকা দিয়ে মূল বেড়িবাঁধে আঘাত করে। জনতা বাজারের সেই ভাঙন এলাকায় অদ্যবধি স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখনই যদি স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হয়, তবে আসন্ন বর্ষায় বেড়ি বাঁধ ভেঙে পানি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, ১৭ হ্জার ৫৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয় ৬০ কিলোমিটার মতলবের এই মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। সেই ৮৮ সালের পর মতলব উত্তরে বাঁধের ভেতরে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর সবই নির্মিত হয়েছে নিচু জমিতে। ইতোমধ্যেই এই বাঁধ দু’বার ভেঙে গিয়েছিল। তখন ৫ লক্ষাধিক মানুষের দুর্দশা হয়েছিল।

তাই সেই অভাবনীয় দুর্দশার কথা উল্লেখ করে জনতাবাজার অঞ্চলের জসিম উদ্দিন মোল্লা, ওয়ালীউল্লাহ ও দেওয়ানসহ স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, জনতা বাজার অঞ্চলে ভেঙে যাওয়া অংশটুকু খুবই দ্রæত এবং স্থায়ী মেরামত করা না হলে বর্ষায় এই অঞ্চল দিয় ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ভেঙে বাঁধবাসীর চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চলে ভাঙা অংশটুকু এখনই স্থায়ী মেরামত করা না গেলে বর্ষায় বাঁধবাসী মানুষের চরম বিপদ হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সেচ প্রকল্প বাঁধের জনতাবাজার অঞ্চলে টেকসই বা স্থায়ী মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাকালীন সময়ের কারণে ফান্ড স্বল্পতা রয়েছ। তবে এই বর্ষা মোকাবেলার জন্য সাময়িক মেরামতের কাজ সহসাই কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ