পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জেলে গিয়েছিলেন। তিনি কোন জেলে ছিলেন? উনি (মোদি) কি তখন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে কোনো ভারতীয় নেতা তো ’৭১ সনে জেলে যাননি। উনি ৫০ বছর পর আজকে এ কথা আবিষ্কার করছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে সারা দেশে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে হতাহতের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সত্যাগ্রহ করে জেলে গিয়েছিলাম’। তার ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মোদি বলতে এসেছেন এখানে (বাংলাদেশ) জঙ্গি আছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে? সুতরাং এসব বিষয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি সরে আসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন আওয়ামী লীগের দুর্ধর্ষ নেতারা কোথায় পালিয়ে গিয়েছিলেন, কোনো ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছিলেন? তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। একমাত্র কাদের সিদ্দিকীই প্রকাশ্যে প্রতিবাদে এসেছিলেন। আমি তখন লন্ডনে, আমার অজান্তেই চোখের পানি ঝরেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা যাদের ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছেন সেই হেফাজতও আজ প্রতিবাদ করছে। আপনার পার্টির লোকেরাও আপনার সামনে এসে কথা বলতে ভয় পায়, তবুও তারা প্রতিবাদ করেছে। কিভাবে? আপনি স্মরণ করুন ১৭ মার্চ। আপনার মহান পিতার জন্মদিবস। সেদিন আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় শাল্লাতে সংখালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা হয়েছে। তারা সংখালঘুদের ওপর অত্যাচার করেনি, তারা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যে, মোদিকে আমন্ত্রণ একটি ভুল কাজ।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ। পুলিশ ভাইদের কাজ হলো শান্তি রক্ষা করা। এখানে কোনো উচ্ছৃঙ্খল জনতা নেই। আপনারা আইনশৃঙ্খলার জন্য চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন। আপনারা এখান থেকে কাউকে ধরে নিয়ে যাবেন না। প্রতিবাদ করা আমাদের মৌলিক অধিকার।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এই সরকার তাদের সুপ্রিয় উগ্র-সা¤প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতে গত (শুক্রবার) ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ লীগ দিয়ে বায়তুল মোকাররমে তান্ডব চালিয়েছে। এখন তান্ডব চালাচ্ছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অতর্কিতভাবে ঘুমন্ত জাতির ওপরে গণহত্যা চালিয়েছিল, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৬ মার্চ এই সরকার আমাদের ওপরে সেই গণহত্যার শামিল একটি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আজকে যদি দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকত, তাহলে এই তান্ডব ঘটতে পারত না। তারা ক্ষমতায় আছে ভারতের কৃপায়। তাই তারা মোদিকে বুঝিয়ে দিয়েছে এদেশের মানুষ গোল্লায় যাক সেটার তোয়াক্কা করি না, আমরা আপনার ভালোবাসা চাই। তাই মোদিকে তারা ৮টি লাশ উপহার দিয়েছে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।