পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। রাজপথে নামতে হবে। বিএনপির তো ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা নেই। থাকলে তো পরিকল্পনা করে আন্দোলন করত। বিএনপি এখন লন্ডনের বার্তা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শিক্ষায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থা ২০২১-২০২২’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আলোচনায় অনেকে বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু তা হবে না। বিএনপির তো ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছা নেই। তাদের ক্ষমতায় আসতে হবে, এমন ইচ্ছা থাকতে হবে। এর সঙ্গে পরিকল্পনাও করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে অন্য জায়গার বার্তা নিয়ে। আর সে বার্তা লন্ডন থেকে আসে। আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করি গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। আন্দোলন করতে হবে। সে পরিবর্তন আনতে হবে বিএনপির ঘরে। আপনারা সবাই খালেদা জিয়ার চেহারায় লক্ষ্য করেছেন, উনার চেহারায় ডিপ্রেশনের ভাব। ডিপ্রেশন হলো আলজাইমারের প্রাথমিক লক্ষণ। তারা যেভাবে তাকে জীবিত থাকতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে শুরু করেছে সেটা হয়তো বিএনপি লোকেরা উপলব্ধি করে না। তাই তারা যদি মুক্তি চায় তবে তারেক দুই বছর চুপচাপ বসে থাকো, বিলেতে লেখাপড়ায় যুক্ত হয়ে যাও।
তারেক রহমানকে নিয়ে এমন সমালোচনা করার সময় উপস্থিত ছাত্রদদের নেতাদের বাধার মুখে পড়েন ডা. জাফরুল্লাহ। তারা বলেন, আপনি বিএনপির নেতাদের নিয়ে সমালোচনা করবেন না। আপনি বিএনপির কে? তবে এতে ডা. জাফরুল্লাহ থামেননি। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিএনপিকে জাগতে হলে জাইমাকে দেশে আসতে হবে। জাইমা তরুণ আছে, সে এসে দায়িত্ব নিলে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রাইমারিসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনতে হবে। মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাদেশিকভাবে ভাগ করে কাজ করতে হবে। সুশাসন ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসবে না। এক ব্যক্তির বন্দনা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। সেটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, অধ্যাপক এম. আব্দুল আজিজ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ. ন. ম. এহছানুল হক মিলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।