পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুইদিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা সংক্রমণ মহামারী শুরুর পর প্রথম বিদেশ সফরে শুক্রবার ঢাকায় এলেন তিনি। মোদি ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে মোদিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ১৯টি গান স্যালুট ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে দুই শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। দেশটির সহযোগিতায় কানেক্টিভিটি তথা আঞ্চলিক যোগাযোগে জোর দেবে ঢাকা। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে সমাধান না হওয়া বড় ইস্যুগুলোও থাকবে আলোচনার টেবিলে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোদির এ সফরে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে সড়ক, রেল ও নৌপথ ছাড়াও সমুদ্র যোগাযোগে গুরুত্ব দেবে ঢাকা। তাছাড়া পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যে অসমতা, আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ কোভিড পরবর্তী সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। সই হতে পারে পাঁচ থেকে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মোদির এই সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, পরিবেশগত সুরক্ষা তথা দুর্যোগ প্রশমনে সহযোগিতা, দুই দেশের ন্যাশনাল স্টাফ কলেজের মধ্যে সহযোগিতা, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহযোগিতাসহ সীমান্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোয় সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো অগ্রগতির খবর আসবে না। তবে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে যে কাজ চলছে সেটিকে আরও দ্রুত সম্পন্ন করতে তাগিদ দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মোদি। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। সেখানে বক্তব্য দেবেন তিনি। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন মোদি।
এছাড়া নরেন্দ্র মোদির এই সফরে আরও সাতটি প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এগুলো হলো- শিলাইদহের সংস্কারকৃত কুঠিবাড়ি, মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত স্বাধীনতা সড়ক, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি সমাধি, বাংলাদেশের কাছে ভারতের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু, দুটি সীমান্ত হাট চালু এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী দেবি মন্দির পরিদর্শনে যাবেন মোদি। সেখান থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শনে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন জাতির পিতার প্রতি। এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি মন্দির পরিদর্শনে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ওই রাতেই দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন মোদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।