পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, তিস্তা নিয়ে আমরা সব সময় আশায় বুক বেঁধে আছি, ইনশাআল্লাহ কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং-এর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি যেটা বলেছি, তিস্তা খসড়া চুক্তির প্রতিটি পাতায় সই করা আছে। কিন্তু এখনও বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়নি। বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি- কারণটা আপনারা জানেন, আমিও জানি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকার ভারতকে চাপে রেখেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে খসড়াটি সই করা আছে ভারত সরকার কখনও সেটা বাতিল করে নাই। তিস্তা নিয়ে তারা এখনও একমত, এটা হবে। তাদের কিছু অসুবিধার কারণে এখনও চূড়ান্ত করতে পারছে না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা ভারতকে চাপে রেখেছি। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি ২০১১ সালে হওয়ার কথা ছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। সেই মমতাই এখনও বাধা হয়ে আছেন। এরপর বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তার জট খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরকে ঘিরে। ওই বছরের ৭ থেকে ১০ এপ্রিলের সফরে ৩৫টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। তবে সেখানে ছিল না তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ। ওই সফরের দ্বিতীয় দিন ৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা সরকার এ চুক্তি করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
আবার ২০১৮ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ভারত সফরেও তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন আবদুল হামিদকে মোদি জানান, এ বিষয়ে মমতাকে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। একই বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফর ঘিরেও তিস্তার প্রসঙ্গ সামনে আসে। যদিও সফরটির উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তারপরও মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার এক ঘণ্টার একান্ত বৈঠক এবং পরে মমতার সঙ্গে আধাঘণ্টার আলাপে তিস্তা নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরে ছয়টি অভিন্ন নদীর বিষয়ে কোনো সুখবর আসবে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মোমেন বলেন, উনি মূলত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। তবে বড় বড় বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা ছয়টা বড় বড় নদী নিয়ে আলোচনা করেছি। স¤প্রতি পানি সচিবরা বৈঠক করেছেন। তারা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি। কিন্তু এটা নিয়ে এখনও কাজ চলছে। দেনদরবার এখনও শেষ হয়নি, চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।