পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ওই দিন পবিত্র শবে বরাতের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত নির্ধারিত তারিখে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত কিছুদিন ধরেই প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা সে বিষয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা হলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। সেক্ষেত্রে এই ছুটি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেদিন শবে বরাতের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে সেদিন স্কুল-কলেজ খোলা হবে না। নতুন করে ছুটি বাড়বে কিনা, বা কবে খুলতে পারে বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মমর্তা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে তাদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে না। তাদের সুরক্ষার কথাটি আগে বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানান তারা।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর স্কুল-কলেজ খোলার আগে শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে দুই মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।