দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর : গণিত শাস্ত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কথিত আছে যে, তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর জিয়া উদ্দিনের (যিনি গণিত শাস্ত্রে বিদেশী ডিগ্রি ও স্বর্ণ পদক লাভ করেছিলেন) একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন- অথচ এর সমাধানের জন্য তিনি জার্মান সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গণিতশাস্ত্রে তাঁর পান্ডিত্যের কথা জানতে পেরে স্যার জিয়াউদ্দিন ঐ গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য আ’লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহির দরবারে গমন করেন। আ’লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি ভাইস চ্যান্সেলর সাহেবের প্রশ্নটা শুনা মাত্রই তার সন্তোষ জনক উত্তর দিয়ে দিলেন। তাঁর উত্তর শুনে স্যার ড. জিয়াউদ্দিন কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন। তারপর তাঁকে বললেন: “হযরত! আমি এ প্রশ্নের সমাধানের জন্য জার্মান যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সৈয়্যদ সুলায়মান আশরাফ সাহেব আমাকে সমস্যাটার সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার নিকট আসতে বলায় আমি এখানে আসলাম। আপনার উত্তর শুনে মনে হচ্ছে যেন আপনি বই দেখে দেখে উত্তর দিচ্ছেন।” তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যক্তিত্বে তিনি এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, মুখে দাড়ি রেখে দিলেন এবং নামায রোযা নিয়মিত আদায় করার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২২৩, ২২৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)
ইমাম আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সময়ে সৃষ্ট বিভিন্ন ফিতনা-ফির্কা, মতবাদ ও বিভ্রান্তির যথাযথ জবাব প্রদানে সদা তৎপর ছিলেন। ১৯০১ সালে যখন মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮ ইং) নিজেকে নবী দাবী করলো, তখন তিনি তার এই ভ্রান্ত মতবাদ খন্ডনে স্বতন্ত্র পাঁচটি পুস্তক যথা-১.জাযাল্লাহু আদুওয়াহু বিআবায়ে খতমিন নবুয়ত ২.আস সূউ ওয়াল ইক্বাবু আলাল মাসীহিল কায্যাব ৩. ক্বহরুদ্দিয়ান আলা মুরতাদি বিকাদীয়ান ৪. আল মুবিনু খতমুন নবিয়্যিন ৫. আল জারাযুদ্দিয়ান আলাল মুরতাদিল কাদীয়ানী রচনা করেন ভন্ড নবীর মুখোশ বিশ্বের সামনে উন্মোচন করে দিয়েছেন।
অনুরুপভাবে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপ যখন আল্লাহ্ তায়ালা, তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম, পবিত্র ক্বোরআন ও সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমকে নিয়ে ঈমান বিধ্বংসী নানা মন্তব্য করতে লাগল তখন তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে আলা হযরত রাহমাতুল্লাহি আলায়হি লিখলেন-১. আল আদিল্লাতুত্বাঈনা ফি আযানিল মুলাঈনা ২. মাত্বলাউল কামরাইন ফি আবানাতি সাবক্বাতিল ওমারাইন ৩. গায়াতুত তাহকীক ফি ইমামতি আলী ওয়াস সিদ্দিক ৪.রদ্দুর রাফেযী সহ প্রায় ২০টির অধিক কিতাব।
যখন তাসাউফের নামে কিছু সংখ্যক লোক শরিয়ত নির্দেশিত কর্মকন্ডকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং দাবী করে নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত প্রভৃতি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ইসলামের মূল হল একমাত্র তরিকত। তাদের বিভ্রান্তির স্বরূপ উম্মোচন করে ইমাম আহমদ রেযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-১.কাশফু হাকায়িক ওয়া আসরারে দাকায়েক, ২.আল ইয়াকূতাতুল ওয়াসেত্বাতু ফি কলবি আকদির রাবিত্বাহ, ৩.নুক্বাউস সালাকাহ ফি আহকামিল বাইআতি ওয়াল খিলাফাহ, ৪.মক্বালুল উরাফায়ি বিঈযাযি শরয়ীও ও ওলামায়ি নামক পুস্তকাদি। যা তাসাউফ’র প্রকৃত পরিচিতি তুলে ধরার পাশাপাশি তাসাউফের নামে ভন্ডামীর খোলস খুলে দেয়।
উত্তর দিচ্ছেন: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।