বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল মঙ্গলবার ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে বলেন, আপনি নিজেও জানেন যে, বর্তমান টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকরা কি পরিমানে দুর্ভোগের রয়েছে। গত এক বছর দেশ এর সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছিল কেবলমাত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নেটওয়ার্কের মহা সড়কের মাধ্যমে।
কিন্তু এ মহাসড়কের অবস্থা বর্তমানে এতটাই বেহাল যা ভাষায় বোঝানো দুষ্কর। আপনার প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়ন পরীক্ষা লক্ষ্য করা যায় কলড্রপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২-৩.৫ এ উন্নীত হয়েছে। সংযোগ পেতে গ্রাহকের ৭ সেকেন্ড এর পরিবর্তে ১০-১২ সেকেন্ড সময় লাগছে। মিউট কলসহ অসংখ্য বিড়ম্বনা, ইন্টারনেটের ধীরগতি, ডাটা ক্রয় করে ডাটা ব্যবহার করতে না পারা, আরো অসংখ্য প্রতারণা এর সাথে যুক্ত হয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যেই দেশের শীর্ষ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন তার কাস্টমার কেয়ার গুলি বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রাহক সেবার মান সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসকল দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখেই আমরা গত বছর ২৮ নভেম্বর উকিল নোটিশ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে আমরা রিট পিটিশন দাখিল করি, যা বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশে ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বার্তা শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় যদি দ্রæত নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন ও ইন্টারনেটে ডাটার গতি বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত সরবরাহ না করা যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। শিক্ষাব্যবস্থা গত এক বছরে ইন্টারনেটের স্বল্পতা উচ্চমূল্যের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। টেলিমেডিসিন এ সময় আমাদের সহযোগিতা করলেও গ্রামীণ প্রান্তিক পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো যায়নি। শুধু তাই নয় ঢাকা শহরের বহু এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়া দুষ্কর।
ঢাকা জজ কোর্টের বহু এলাকা, গুলিস্থান, পুরাতন ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্টের বহুলাংশে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯-২০২০ ও ২০২১ সালে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। ডাটার ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। বর্তমানে চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ প্রায়। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস-আদালত, বিনোদন ব্যবস্থা, পারিবারিক বন্ধন, সবকিছু সচল রাখতে একমাত্র মাধ্যম নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন অপর্যাপ্ত দ্রæতগতির ডাটা সরবরাহ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কারণকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এর বিকল্প কোন সমাধান নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।