রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যায়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে দু’টি কালভার্ট গ্রামবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে নির্মিত কালভার্ট দু’টিতে ফাটল দেখা দেয়ায় হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ। তারপরও দুই কালভার্টের মাঝে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াতের উপায় খুঁজে নিয়েছে এলাকাবাসী। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্রি ইউনিয়নে ভেলামতি নদীর একপ্রান্তে উপজেলা সদর ও অপর প্রান্তে কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবারের বসবাস। ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত কালভার্ট দুটি ভেঙে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তদন্তের মাধ্যমে একটির পরিবর্তে কোন স্বার্থে পাশাপাশি দুটি কালভার্ট নির্মাণ এবং অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিও জানানো হয়।
ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। একটি কালভার্টের শেষাংশ অপর কালভার্টের প্রথমাংশের সাথে সংযুক্ত করা হয়। দুটি কালভার্টের মাঝের ফাঁকা অংশ কাবিখা প্রকল্পের অর্থে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়। কালভার্ট দুটি নির্মাণের পরপরই অতিবর্ষণে দুই কালভার্টের মাঝে ভরাটকৃত মাটি সরে গেলে দৃশ্যমান হয় দুটি কালভার্ট। মাটি সরে যাওয়ায় একটি কালভার্টের সাথে অপর কালভার্টটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এতে করে দুই ইউনিয়নের গবিড়াহাট, গুচ্ছগ্রামসহ প্রায় ৫টি গ্রামের হাজারো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিজেদের স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এলাকাবাসী ফাঁকা স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দু’টি কালভার্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে সাময়িকভাবে যাতায়াতের পথ তৈরি করে নেয়। এদিকে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নির্মিত কালভার্ট দুটির গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়ার পাশাপাশি অনেক স্থানে ভাঙন দেয়া দেয়ায় কালভার্ট দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে শুধু হাটাচলার জন্য সাময়িক ব্যাবস্থা হলেও এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কৃষি পরিবহন, এম্বুলেন্স বা অন্যান্য পরিবহনে বিকল্পপথ ব্যবহারে বেশি টাকা ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি লাগছে দ্বিগুন সময়। যার কারণে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মনোয়ার হোসেন জানান, কালভার্ট দুটি আগের কর্মকর্তার সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তার মতে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিভাগের মাধ্যমে একটি কালভার্টের জন্য যে পরিমান বরাদ্দ রয়েছে তা দিয়ে নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। তাই পাশাপাশি দুটি প্রকল্প দেখিয়ে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করে একটির পেছনের অংশের সাথে সামনের অংশের সংযোগ দেয়া হয়েছে। মাঝে মাটি দিয়ে ফাঁকা অংশ পূরণ করা হয়। বর্ষায় মাটি সরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দ্রুত একটি পরিপূর্ণ কালভাট নির্মাণ করে স্থানীয়দের ভোগান্তি থেকে কর্তৃপক্ষ রক্ষা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।