Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক

লাইসেন্সবিহীন ট্রাক-পিকআপ বেপরোয়া

মুনীরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিত্যদিনই চলছে ইট-বালু বোঝাই লাইসেন্সবিহীন ট্রাক ও পিকআপ। আর এসব যানবাহনের কারোই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই প্রতিমাসেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে মৃত্যুও হচ্ছে ২/৩ জনের। এরা কেউই মানছে না পরিবহন নিয়মবিধি।
জানা যায়, বেপরোয়া এসব বালুর ট্রাক, পিকআপ এবং মাহেন্দ্রর কারণে সড়কে চলাচল অসাধ্য হয়ে উঠেছে। এসব যানবাহনের চালকরা বেশি আয়ের আকাক্সক্ষায় বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান। পরিবহন চালকদের ট্রাফিক নিয়ম থাকলেও মানছে না ট্রাক চালকরা। শ্রীনগরে নানা ধরনের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এসব চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স বা প্রশিক্ষণ। মূলত হেল্পার থেকে এরা রাস্তায় এসব যানবাহন চালিয়ে ড্রাইভার হচ্ছেন।
এদের অধিকাংশই অল্প বয়সী, অল্প শিক্ষিত এবং শিক্ষানবিশ চালক। শ্রীনগরের কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকশা ৯নং ওয়ার্ড, বীরতারা, সাতগাঁও, বাঘড়া, আলমপুর, মজিদপুর দয়হাটা, হাঁসাড়াসহ বিভিন্নস্থানে চলছে এসব লাইসেন্সবিহীন যানবাহন। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এদের কারণে সড়ক আজ মরণফাঁদ। বিশেষ করে ইট বালুর ব্যাবসায়ীদের ট্রাক, মাহিন্দ্রাগুলো যেন সাক্ষাৎ যমদূত। এতে আতঙ্কে রয়েছে জনসাধারণ।
জনসাধারণ সকলেরই দাবি, প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে আইনের কঠোর আইন প্রয়োগ করে। এসব যানবাহন পরিবেশও নষ্ট করছে। আইনগত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না প্রশাসন এলাকাবাসীর অভিযোগ। তারা অভিযোগ করে আরো জানান, যারা এসব লাইসেন্সবিহীন যান চালায়, এদেরকে বড় বড় নেতারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এদের কিছু বলা যায় না। তাই আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। আমরা এসব থেকে পরিত্রাণ চাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সংযোগ রাস্তায় বালু ও মাটি বোঝাই নিষিদ্ধ মাহিন্দ্রা, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ও ট্রাকের দৌরত্ম্য। এসব ট্রলির কারণে সড়কের গুরুত্বপূণ মোড় কিংবা সেতু পারাপারে জ্যামজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ সময় লক্ষ্য করা গেছে, সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব ট্রলির যাতায়াতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
একাধিক বালু ও মাটি ব্যবসায়ীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং অতি শিগগিরই বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশনা দিবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ