Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শ্রীনগরে চলছে লাইসেন্স বিহীন ট্রাক-পিকআপ, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা।

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ২:৩৩ পিএম

নিত্যদিনই চলছে ইট-বালু বোঝাই -লাইসেন্স বিহীন ট্রাক ও পিকআপ। আর এসব যানবাহনের কারোরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই প্রতিমাসেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। মৃত্যু হচ্ছে ২/৩ জনের। এরা কেউই মানছে না পরিবহন নিয়মবিধি। বেপরোয়া এসব বালুর ট্রাক, পিকআপ এবং মাহেন্দ্রর কারণে সড়কে চলাচল অসাধ্য হয়ে উঠেছে। এসব যানবাহনের চালকেরা বেশি ও দ্রুত আয়ের আকাঙ্ক্ষায় বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান।পরিবহন চালকদের ট্রাফিক নিয়ম থাকলেও মানছে না ট্রাক চালকরা। শ্রীনগরে নানান ধরনের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এসব চালকদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা প্রশিক্ষণ। মূলতঃ হেল্পার থেকে এরা রাস্তায় এসব যানবাহন চালিয়ে ড্রাইভার হচ্ছেন। এদের অধিকাংশই অল্প বয়সী, অল্প শিক্ষিত এবং শিক্ষানবিশ চালক।শ্রীনগরে বিভিন্নস্থান যেমন কোলাপাড়া ইউনিয়ন দক্ষিণ পাইকশা ৯ নং ওয়ার্ড, বীরতারা ,সাতগাঁও ,বাঘড়া, আলমপুর, মজিদপুর দয়হাটা, হাঁসাড়াসহ বিভিন্নস্থানে চলছে এসব লাইসেন্সবিহীন যানবাহন।এতে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এদের কারণে সড়ক আজ অনিরাপদ। এ এক মরণফাঁদ। বিশেষ করে ইট- বালুর ব্যাবসায়ীদের ট্রাক, মাহিন্দ্রাগুলো যেন সাক্ষাৎ যমদূত। আতংকে রয়েছে জনসাধারণ। জনসাধারণ সকলেরই দাবী, প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে আইনের কঠোর আইন প্রয়োগ করে। এসব যানবাহন পরিবেশও নষ্ট করছে বিধায় পরিবেশ গত ঝুকিও যেন প্রশাসন বিবেচনা করে। আইনগত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না প্রশাসন এলাকাবাসী অভিযোগ। তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, যারা এসব লাইসেন্সবিহীন যান চালায়, এদেরকে বড় বড় নেতারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এদের কিছু বলা যায় না। তাই আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। আমরা এসব থেকে পরিত্রাণ চাই।উপজেলার বিভিন্ন সংযোগ রাস্তায় বালু ও মাটি বোঝাই নিষিদ্ধ মাহিন্দ্রা, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ও ট্রাকের দৌরত্ম্য! এসব ট্রলির কারণে শড়কের গুরুত্বপূণ মোড় কিংবা সেতু পারাপারে জ্যামজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা
দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ সময় লক্ষ্য করা গেছে, সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে গ্রামীন রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব ভাড়ি ট্রলির যাতায়াতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কমনা করেন এলাকাবাসী। একাধিক বালু ও মাটি ব্যবসায়ীর সাথে এবিষয়ে কথা হলে তারা মুখ
খুলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো এবং অতি শিগ্রয়ই বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ উল্যেখ করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশনা দিবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ