বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) ল্যাবের ২৯টি কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ সোমবার সন্ধ্যার পর বাথরুমের ফলস ছাদের ওপর পাওয়া গেছে। টিটিসিতেই কর্মরত কেউ চুরির জন্য যন্ত্রাংশগুলো সিপিইউ থেকে খুলে যন্ত্রাংশগুলো সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল বলে পুলিশের ধারণা।
সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ ল্যাবের পাশের বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে ২৯ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, র্যাম, কুলিং ফ্যান, মাদারবোর্ড ও প্রসেসরসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অবশ্য কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজশাহী টিটিসির কম্পিউটার ল্যাবটি আইটি ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত। গত রোববার বিকালে কর্তৃপক্ষ চুরির বিষয়টি জানতে পারে। আইটি ভবনে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকলেও ফুটেজ সেভ হতো না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা টিটিসির অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এসএম এমদাদুল হককে অবহিত করলেও তিনি পদক্ষেপ নেননি। ফলে এখন জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে তাদের মনে হয়েছে এটা ছিচকে চোরের কাজ নয়।
অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এসএম এমদাদুল হক দাবি করেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হার্ডডিস্কে সেভ না হওয়ার বিষয়টি তিনি আগে থেকে জানতেন না। ভয়াবহ এই ঘটনায় নিজের কোন দায় নেই বলেও দাবি করেন তিনি। অধ্যক্ষ জানান, রোববার বিকালে ল্যাবে প্রশিক্ষণার্থীদের কম্পিউটার ক্লাস ছিল। তখনই দেখা যায় কম্পিউটারগুলোর সিপিইউ’র যন্ত্রাংশ নেই। তবে মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার ভোর ৬টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চুরির ঘটনায় রোববার রাতেই রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলা করেন অধ্যক্ষ। ঘটনা তদন্তে উপাধ্যক্ষ আক্তারা শাহীনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও তিনি গঠন করেছেন। সোমবার সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ল্যাবটি পরিদর্শন করেন। রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সোমবার দিনভর পুলিশ টিটিসিতে অবস্থান করে। অবশেষে সন্ধ্যায় বাথরুমের ছাদে যন্ত্রাংশগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
টিটিসি সূত্র বলছে, চারতলা ভবনটির নিচতলার প্রধান ফটকের তালা স্বাভাবিক ছিল। তবে তৃতীয় তলার ল্যাবের তালা ভাঙা পাওয়া গেছে। এই ভবনটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সেভ না থাকার কারণে জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরার এ বিষয়টি আগেই অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।
টিটিসির ভেতরেরই কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও এমন সন্দেহের কথা জানানো হয়েছে।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম খান বলেন, এটা বাইরে থেকে আসা কোন চোরের কাজ নয়। ভেতরেরই কেউ জড়িত। এটা আমরা শতভাগ নিশ্চিত। সে ধীরে ধীরে এসব কম্পিউটার সামগ্রী বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিল। এই ব্যক্তিটি কে তা জানার চেষ্টা চলছে। নিশ্চিত হওয়ামাত্র তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।