পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) উদ্দেশে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, স্কুলে স্কুলে গিয়ে মেয়েদের উৎসাহিত করতে হবে, যাতে তারা পুলিশে যোগ দিতে আগ্রহী হয়। সোমবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ‘জেন্ডার রেসপন্সিবল পুলিশিং : অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশে আরও বেশি নারী পুলিশ নেওয়ার মাধ্যমে পুলিশের নারীবান্ধব সেবা প্রদানের সক্ষমতা বাড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইজিপি। বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সব মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে যাদের জন্ম হয়েছে তারা জানবে না, একসময় দারিদ্র্য ও ক্ষুধা ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। বিশ্ব মোড়লেরা বলতো যে, এমন দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে না। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে বিশ্ব মোড়লদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে, নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলগুলোতে মেয়েদের অংশগ্রহণ ছেলেদের চেয়ে বেশি। যেটি শিক্ষিত ও কর্মক্ষম নারী গোষ্ঠী বিনির্মানে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এক সময় এ দেশে শুধু উচ্চবিত্তের জন্য শিক্ষার সুযোগ ছিল। এখন সমাজের তৃনমূল পর্যন্ত সব পরিবারের মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে, নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ছে।’ ‘বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সর্বপ্রথম ৬ জন নারী পুলিশ সদস্য যোগদান করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে নারী পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। এ সংখ্যা আমাদের মোট পুলিশ জনবলের শতকরা ৭.৫ ভাগ, যা আনুপাতিক হারে জাপান পুলিশের নারী সদস্যদের সমান। আইজিপি বলেন, এই বাহিনীতে কর্মরত নারী সদস্যদের পাশাপাশি সমাজে নানা শ্রেণিপেশার নারীদের জন্য তারা অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যেই, তারা নারীর উন্নয়ন ও এগিয়ে চলায় নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।