পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু নিয়োগকৃত প্রথম বিসিএসের ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। রায় বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল গতবছর ১ নভেম্বর এ রায় দেন।
রিটকারীদের আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী জানান, গত বছর ১ নভেম্বর স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩৯ কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। তাদের করা তিনটি পৃথক রিটের শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
অ্যাডভোকেট রেজা-ই-রাব্বী বলেন, এই ৩৯ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৮ সালে তাদের পদোন্নতির জন্য একটি নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে নতুন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি করাই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার জন্য।
এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছিলেন ২০০২ সালের বিধিমালা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন।
২০১৩ সালে বঞ্চিত ওই ৩৯ কর্মকর্তা ২০০২ সালের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক ৩টি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন। এখন তারা অবসরে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।