বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বির্তকিত টিকটক তারকা ‘অপু ভাই’ নেচে-নাচিয়ে গেছে শুক্রবার সিলেট সরকারী কলেজ। তাকে আশ্রয়-প্রশয়-আদর-আপ্যায়ন-আস্কারা সবই দিয়েছে কলেজ ছাত্রলীগ। কিন্তু নিয়ম মেনে নয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবেই এহেন কাজ করেছে তারা। সুস্থ ধারার বিনোদনের পরিবর্তে অপসংস্কৃতিতে আসক্ত এমন তারকাকে নিয়ে মৌজ-মাস্তির ঘটনায় চলছে তোলপাড়। কলেজ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই নিজস্ব দাপটে অডিটোরিয়াম খুলে এহেন অনুষ্টান করেছে ছাত্রলীগ। বাধ্য করেছে কলেজ কর্মচারীকে অডিটোরিয়াম খুলে দিতে। কলেজ কর্মচারী ইদ্রিস আলী ছাত্রলীগ নেতাদের দাপটের কাছে ছিল কার্যত অসহায়। এ অনুষ্টানে কোন অঘটনা ঘটলে, কে নিতো দায়দায়িত্ব এ প্রশ্ন এখন সংশ্লিষ্টদের। এমসি কলেজ ছাত্রাবাস করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও খোলা রেখেছিল ছাত্রলীগের বেপরোয়া নেতাকর্মীরা। গণধর্ষণ ঘটনার পর সামনে উঠে আসে ছাত্রাবাস কেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নানা অপরাধ কর্মকান্ড। অনেকে আশংকা করছেন ‘অপু ভাই’ কে নিয়ে হয়তো কোন অপ্রত্যাশিত অঘটনে জড়িয়ে পড়তো সরকারী কলেজের সুনাম। সুশিক্ষা বিস্তারের সিলেট সরকারী কলেজের খ্যাতি ব্যাপক। খ্যাতির তকমাকে ম্লান করে দিয়েছে ‘অপু ভাই’ কে নিয়ে ছাত্রলীগের মাখামাখিতে। এমনকি ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি’ এমন শ্লোগানের ধারণ লালনে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা কতখানী উদাসীন তারও প্রমাণ মিলছে এ ঘটনায়। এমনতিতেই সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে সম্প্রতি অতীতে গণধর্ষণ ঘটনায় লেজেগোবরে অবস্থা ছাত্রলীগের। এরমধ্যে মূল্যবোধহীন সস্তা সংস্কৃতির কথিত তারকা ‘অপু ভাই’কে নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন সিলেট সরকারী কলেজ চত্বর। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ‘অপু ভাই’কে নিয়ে জমজমাট অনুষ্টান করলেন ছাত্রলীগ নেতারা। বিকেল ৫টায় কলেজ অডিটোরিয়ামের তালা অবৈধভাবে খুলে ৪/৫শত তরুনদের নিয়ে করলেন আনন্দ র্ফূতি। ‘অপু ভাই’ও দেখিয়ে দিলো, সস্তা বিনোদনে তারকা স্বীকৃত পাওয়া যায় ছাত্র সমাজেও। সিলেট সরকারী কলেজে একচ্ছত্র আধিপত্য ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ সহ অনেক ভক্ত ঘুরঘুর করেছেন ‘অপু ভাই’য়ের পেছনে পেছেন। কি আনন্দ আহারে! কলেজ ছাত্রলীগের আস্কারায় ‘যেমন খুশি তেমন বিনোদন’র প্রকাশ করেছে ‘অপু ভাই’। নিজের ছবি সম্বলিত কেক কেটেছে বিলিয়েছে, উপস্থিত ভক্ত অনুসারীদের মধ্যে। নেচে-নাচিয়ে তালবেতাল করেছে সরকারী কলেজের অডিটোরিয়াম। তবে এরকম ঘটনা সিলেট সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে যে ঘটেছে তা জানেননি কলেজের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আজ রোববার এঘটনা শুনেন তিনি। শুক্রবারে কলেজে ছিল ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছিলেন তিনি। আজ খবর প্ওায়ার পর সংশ্লিষ্টদের তলব করে ঘটনার সত্যতা পান অধ্যক্ষ। তারপর কলেজ কর্মচারী ও অডিটোরিয়ামের চাবী রক্ষক ইদ্রিস আলীকে শোকজ করেছেন এঘটনায় তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।