বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিরোধের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সেচের পানি দেয়া হয়নি। এতে ৪০ বিঘা জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি। আর এ কারণে অন্তত দেড় হাজার মণ ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের এ ঘটনায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জমির মালিক লিলু মিয়ার বাবা ইউনুছ মিয়া। গত ২৫ জানুয়ারি ইউনুছ মিয়ার দেয়া ওই লিখিত অভিযোগে মনিপুর গ্রামের প্রভাবশালী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সমস্যা নিরসনের দাবি জানানো হয়।
জানা যায়, মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়ার কৃষক ইউনুছ মিয়ার ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী লিলু মিয়া ওই এলাকার হাইখোলায় কিছু জমির মালিক। এসব জমি স্থানীয় কৃষকদের কাছে বর্গা রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর লিলু দেশে এলে একই গ্রামের প্রভাবশালী হৃদয় আহমেদ জালালের সঙ্গে লিলুর কথা কাটাকাটি হয়। এসব ঘটনায় লিলুর কৃষি জমিগুলোতে সেচের পানি দেয়া বন্ধ করে দেন জালাল। ফলে জমিগুলোর বর্গাচাষিরা চলতি মৌসুমে ফসল ফলাতে পারেনি।
লিলু মিয়ার ফুফাতো ভাই ফারুক মিয়া বলেন, কৃষিজমিতে সেচের পানি দেয়ার জন্য জালালের অনেকগুলো মেশিন আছে। তারা অন্যান্য কৃষকদের জমিতে পানি দিলেও আমার ফুফার কোনো জমিতেই পানি দেয়নি। ফলে জমিগুলো অনাবাদি রয়ে গেছে। বর্গাচাষিরা এবার ধান চাষ করতে পারেনি। জয়নাল মিয়া নামে এক বর্গাচাষি জানান, ধান চাষের জন্য তিনি লিলু মিয়ার কাছ থেকে ৭ কানি জমি বর্গা নিয়েছেন। যখন ধান চাষের সময় এসেছে, তখন জালাল সেচের পানি দেয়নি। এর ফলে এবছর জমিতে ধান চাষ করতে পারেননি তিনি।
তবে অভিযুক্ত হৃদয় আহমেদ জালালকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে জাহিদ আহমেদ জয় বলেন, ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম মিয়ার সঙ্গে লিলু মিয়ার ঝগড়া হয়। সেই ঘটনায় তারা আমাদের নামে একাধিক মামলা দিয়েছে। তবে তদন্তে কোনো মামলাই টিকেনি। আমরা সেচের পানি দিয়েছিলাম। তারা নিতে চায়নি। কেনো নেয়নি সেটা জানি না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, সেচের পানি দিতে বাধা দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে. এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সেচের পানি না দেয়ার অভিযোগটি পেয়েছি। জমিতে পানি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।