Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খাগড়াছড়ি উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক চাষিদের নির্যাতন

মো. ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

খাগড়াছড়ি জেলার তাইন্দং-তবলছড়িতে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ কর্তৃক বাঙালি চাষিদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও পাহাড়ে চাষাবাদ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ে অধিকার আদায়ের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ,

১৯ মার্চ বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলা সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ লোকমান হোসাইনের সঞ্চালনায় ও জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা থানাধীন তবলছড়ির পানছড়ি চৌমুহনী এলাকায় রাস্তায় এই সমাবেশ করা হয়, এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, এই সময় বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন আর কোন বাঙালিদের গায়ে হাত উঠানো হলে আর প্রতিবাদ হবেনা, এখন থেকে প্রতিহত করা হবে, দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে বাঙালীরা অত্যাচারী হলেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ শুনা যাচ্ছিল খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ও তাইন্দং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় উপজাতীয় সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের কর্মীদের কর্তৃক বাঙালীদের নির্যাতন পাহাড়ে চাষাবাদ নিষেধ ও অমানবিক অত্যাচার এর খবর পাওয়া যাচ্ছিলো। বিভিন্ন সময় পাহাড়ে কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কোদাল, দাসহ বিভিন্ন সামগ্রী, মোবাইল নিয়ে যাচ্ছিল ইউপিডিএফ, অনেক নিরিহ চাষিদেরকে বন্দুকের নল দিয়েও আঘাত করেছে। পাহাড়ে যেন না যায় সেজন্য পাহাড়ের মাটি খেতেও বাধ্য করেছে অনেক চাষীদেরকে। গত ১৮ মার্চ দুপুরে ১১ জন বাঙালি চাষিদেরকে নিজ জমি থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মির ৩ ঘণ্টা পরে মুক্তি দিলেও অমানবিক নির্যাতন মারধর করা হয় তাদেরকে। পাহাড়ে চাষাবাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। ভুক্তভোগী সবাই এর থেকে মুক্তির জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে বলে তারা জানায়।
এইসময় অন্যান্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি প্রিন্সিপাল আবু তাহের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, জেলা সহ সভাপতি রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা, জিয়ারুল, বাশারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ