Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাঝখানে মাটি ভরাট করে নির্মান করা পাশাপাশি দুটি কালভার্ট এখন মরণফাঁদ

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ৩:৫৫ পিএম

পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মানের কারনে দুটি কালভার্ট গ্রামবাসীদের ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে নির্মিত কালভার্ট দুটিতে ফাটল দেখা দেয়ায় হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ। তারপরও দুই ব্রীজের মাঝে বাঁশের সাকো তৈরী করে যাতায়াতের উপায় খুজে নিয়েছে এলাকাবাসী। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্রি ইউনিয়নে ভেলামতি নদীর একপ্রান্তে উপজেলা সদর ও অপর প্রান্তে কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবারের বসবাস। ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত কালভার্টদুটি ভেঙ্গে একটি কালভার্ট নির্মানের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। তদন্তের মাধ্যমে একটির পরিবর্তে কোন স্বার্থে পাশাপাশি দুটি কালভার্ট নির্মান এবং অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবীও জানানো হয়।

ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের অধিনে ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুটি কালভার্ট নির্মান করা হয়। একটি কালভার্টের শেষাংশ অপর কালভার্টের প্রথমাংশের সাথে সংযুক্ত করা হয়। দুটি কালভার্টের মাঝের ফাঁকা অংশ কাবিখা প্রকল্পের অর্থে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়। কালভার্ট দুটি নির্মানের পরপরই অতিবর্ষনে দুই কালভার্টের মাঝে ভরাটকৃত মাটি সরে গেলে দৃশ্যমান হয় দুটি কালভার্ট। মাটি সরে যাওয়ায় একটি কালভার্টের সাথে অপর কালভার্টটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এতে করে দুই ইউনিয়নের গবিড়াহাট, গুচ্ছগ্রামসহ প্রায় ৫টি গ্রামের হাজারো মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নিজেদের স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এলাকাবাসী ফাঁকা হয়ে স্থানে বাঁশের সাকো নির্মান করে দুটি কালভার্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে সাময়িকভাবে যাতায়াতের পথ তৈরী করে নেয়। এদিকে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নির্মিত কালভার্ট দুটির গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়ার পাশাপাশি অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেয়া দেয়ায় কালভার্ট দুটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাঁশের সাকো দিয়ে শুধু হাটাচলার জন্য সাময়ীক ব্যাবস্থা হলেও এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। কৃষি পরিবহন, এম্বুলেন্স বা অন্যান্য পরিবহনে বিকল্প পথ ব্যবহারে বেশি টাকা ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি লাগছে দ্বিগুন সময়। যার কারনে বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
ব্রিজটি নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মনোয়ার হোসেন জানান, কালভার্ট দুটি আগের কর্মকর্তার সময়ে নির্মান করা হয়েছে। তার মতে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিভাগের মাধ্যমে একটি কালভার্টের জন্য যে পরিমান বরাদ্দ রয়েছে তা দিয়ে নদীটির উপর একটি কালভার্ট বা ব্রীজ নির্মান করা সম্ভব নয়। তাই পাশাপাশি দুটি প্রকল্প দেখিয়ে দুটি কালভার্ট নির্মান করে একটির পিছনের অংশের সাথে সামনের অংশের সংযোগ দেয়া হয়েছে। মাঝে মাটি দিয়ে ফাঁকা অংশ পূরন করা হয়। বর্ষায় মাটি সরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দ্রুত একটি পরিপূর্ণ কালভাট নির্মান করে স্থানীয়দের ভোগান্তি থেকে কর্তৃপক্ষ রক্ষা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ