পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুযায়ী টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ পরীক্ষার বিবেচনায় ৫ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে ধরা যায়। বাংলাদেশে টানা আট সপ্তাহের বেশি সংক্রমণ এর নিচে ছিল। নিয়ন্ত্রণে আসার পর টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ ৫ শতাংশের বেশি হলে দ্বিতীয় ঢেউ ধরা যায়। বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি ১৫ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে।
শীত পেরিয়ে এসে বসন্তও প্রায় শেষ। দেশব্যাপী চলছে গণটিকা কর্মসূচি। তবু পিছু ছাড়ছে না করোনা। বরং গরমের শুরুতেই আবার বাড়ছে সংক্রমণ। দিনে দুই হাজারের আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে নতুন রোগী, যা গত তিন মাসে দেখা যায়নি।
সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। পরিস্থিতি নজরে রাখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নীতিমালা বলছে, বাংলাদেশে আসলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর নীতিমালায় বলা হয়েছে, টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিল টানা আট সপ্তাহের বেশি।
তবে ৬ মার্চ এই শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে আসে। এরপর থেকে সেটি আরও বাড়তে থাকে। ডব্লিউএইচওর আরেক নীতিমালা অনুযায়ী, যদি টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার বাড়তে থাকে তাহলে নতুন ঢেউ আসছে বলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে টানা ১০ দিন প্রতিদিন রোগি শনাক্ত হয়েছে হাজারের ওপরে।
১৮ মার্চ করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ১৮৭ জনের শরীরে। শনাক্তের এই সংখ্যা ১০০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২০২ জনের শরীরে।
শনাক্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। এক মাস আগেও দিনে পাঁচ থেকে সাতজনের মৃত্যুর তথ্য এলেও শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৬৭ দিনে এত বেশি মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক দিনে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়। এটি গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর ছিল সর্বনিম্ন। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ শতাংশের নিচে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপ আমেরিকায় আরও বেশি বিধ্বংসী হয়েছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বেশি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগে আবারও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।