পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিয়ে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে একমত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। দুই দেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে আজ ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছান দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে যৌথ ফিজিবিলিটি স্টাডি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের এখন দ্রæত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) যাওয়া উচিত। বেসরকারি সেক্টরের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে শ্রীলঙ্কান উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করেছে। আমরা শ্রীলঙ্কান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং হাইটেক পার্কগুলোতে আরো বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। ধান চাষ, স্বচ্ছ পানি মাছ চাষসহ কৃষি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করে শ্রীলঙ্কা লাভবান হতে পারে। জরুরি রেসপন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে দেখে। আগামী বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছর দু’দেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান মাহিন্দা রাজাপাকসে। বাংলাদেশের ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সেক্টর বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। বাংলাদেশের বøু-ইকোনোমি ধারণার প্রশংসা করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। এদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনে আগ্রহ প্রকাশ করেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বলে জানান এহসানুল করিম। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
শ্রীলঙ্কান প্রতিনিধি দলে ছিলেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জিএল পিরিস, রুরাল হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইন্দিকা আনুরুদ্ধ, আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তারক বালাসুরিয়া প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।