Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে রোগীকে মারধরের অভিযোগ

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে পদ্মা হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারে এক রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। আহত রোগী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার (৩৮) ঝালকাঠি জেলা সদরের রমানাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মীর সিরামিক্স লিমিটেডের কর্মী।
আহতের স্ত্রী রুবিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী কুদ্দুস তালুকদারের বাম পায়ে লোহার কনা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালে অসুস্থের ধরণ জানিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ নেন। এসময় হাসপাতালের কর্মীরা পায়ের কণা বের করতে না পারলে ভিজিট ফেরত দেয়ার শর্তে সাত শ’ টাকা ভিজিট নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে দেখে পায়ের কণা বের করতে বিশেষ যন্ত্র না থাকার কথা জানান। ওই যন্ত্রটি এ হাসপাতালে না থাকায় চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় নেয়ার পরার্মশ দেন।
তিনি জানান, পরে অভ্যর্থনা বুথে রোগী ভিজিট ফেরত চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা ভিজিট ফেরত দিবেন না বলে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। বার বার ভিজিট দাবি করার এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তুহিন আহমেদ এসে রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। তার সাথে হাসপাতালের কর্মীসহ কমপক্ষে ১২ জন রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ঠোঁট, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এ সময় রোগীর স্ত্রী ও সন্তান কান্না শুরু করেন। তাদের কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসলে মারধর বন্ধ হয়।
শ্রীপুর থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান, ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রোগীকে চিকিৎসা শেষ করে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তারা দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসা নিতে রাজধানীর মিরপুরে ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে বের হয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে পদ্মা হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের অভ্যর্থনা বুথের কর্মী হাসিব জানান, পায়ে গেঁথে যাওয়া কণা অপারেশন করার জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র রয়েছে, যা এখানে নেই। তাছাড়া তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক অভিযুক্ত তুহিন আহমেদ বলেন, রোগী নিজেও অনেক খারাপ আচরণ করেছেন। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ রোগীর ভিজিট ফেরত না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া রোগীর অসুস্থতার ব্যাপারে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বার্তার এক ফাঁকে রোগীর গায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত লেগে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ