রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে আইনের কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই পরিকল্পনাহীনভাবে নাটোরের লালপুরে ফসলি জমিতে চলছে অবাধে পুুকুর খনন। এ ধরনের অবাধ ও পরিকল্পনাহীন পুকুর খনন বন্ধ না হলে স্থায়ী পানিবদ্ধতাসহ কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশিষ্টরা কৃষিবিদরা। এতে শুধু কৃষি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, বিরুপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপরেও।
স্থানীয় কদিমচিলান ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটায় মাটি দেয়ার কথা বলে ভাটার পাশাপাশি এসব ফসলি জমির মাটি উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি পর্যায়েও বিক্রয় করা হচ্ছে। মাটিবাহী ট্রাক্টরের মোটা ও ভারী চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এতে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, উপজেলা প্রশাসন পুুকুর খনন বন্ধে অভিযান চালিয়ে দুই একজনকে অর্থদন্ড করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরেই আবার চলছে পুকুর খনন।
পুকুর খননকরীরা জানান, লিখিত অনুমতি না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের মৌখিক অনুমতিতে পুকুর খনন করছেন তারা। তবে মৌখিক অনুমতির কথা অস্বীকার করে উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে পুকুর খনন বন্ধে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। এর মধ্যে এবি, দুুয়ারিয়া, কদিমচিলন ও আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশি পুকুর খনন হচ্ছে। এই সব এলাকাতে প্রায় ১৫টি স্থানে এক্সেবেটর দিয়ে দুই তিন ফসিল জমিতে চলছে পুকুর খনন করা হচ্ছে। কোথাও আবার কৌশল পাল্টে এক্সেবেটরের বদলে কোদাল দিয়ে পুকুর খনন হচ্ছে।
দুয়ারিয়া ইউপির আহম্মেদপুর গ্রামের বিলে প্রায় ৬ বিঘা জমিতে লালন নামের এক ব্যক্তি এক্সেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করছে। কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। সবাই বিষয়টি জানে আপনার সাংবাদিকরাও জানে। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে।
এক্সেবেটর চালকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা জানান, পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করেই সকলকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন তারা। আর এ মাটি গাড়ি প্রতি সর্বনিম্ন ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকায় বিক্রয় করছেন। স্থানীয় হারুন আলীসহ একাধিক কৃষকরা জানান, বিলের মধ্যে এভাবে পুকুর খনন করায় বিলের পানি নিষ্কাশনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেকদিন ধরে বিলে পানিবদ্ধতা হয়ে থাকায় আমর জমিতে ফসল ফলাতে পারি না।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি জমিতে ফসল নষ্ট করে পুকুর খনন আইনবিরোধী। এভাবে পুকুর খনন করায় কৃষি ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব পরবে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার জানান, পুকুর খনন বন্ধে তারা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর্থিক জরিমানার সঙ্গে কারাদন্ড ও এক্সেভেটরের ব্যাটারি জব্দ করছেন তিনি। পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের পাশাপশি জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।