পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অমর একুশে বইমেলা-২০২১ এর পর্দা উঠলেও পুরো আমেজ আসেনি এখনও। মেলার বাংলা একাডেমি অংশে গোছানোর কাজ শেষ হলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ এখনও অনেকটা ধূসর। পুরো আমেজ আনতে স্টল সাজানোসহ নানা কাজ করে যাচ্ছেন মালিক ও প্রকাশকরা। করোনাকালে বড় পরিসর ও গোছালো প্রাঙ্গণে অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করলেও কিছু বিষয়ে অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিরক্তিও দেখা গেছে আগতদের মুখে।
করোনা মহামারীর কারণে বইমেলা প্রায় দেড় মাস পর শুরু হলেও স্টল সাজানোসহ সোহরাওয়ার্দি অংশে কিছু কাজ এখনও বাকি দেখা যায়। প্যাভিলিয়নসহ বেশকিছু প্রকাশনীর স্টল নির্মাণের কাজ রয়েছে অসম্পন্ন। আবার অনেক ক্ষেত্রে স্টল সাজানো হলেও বই সাজানো হয়নি। মেলার উভয় প্রাঙ্গণে বাংলা একাডেমি থেকে পানি ছিটানোর কথা থাকলেও এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। হাঁটার জন্য নির্ধারিত রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেও যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যেখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় কাঠ, পেরেকসহ নির্মাণ সামগ্রী।
তবে শুরুর দিকে কম জমলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেলা দম পাবে এমন আশা সংশ্লিষ্টদের। প্রকাশকরা বলছেন, বইমেলা শুরুর কয়েকদিন সবসময়ই বিক্রি কম হয়। শুরুতে দর্শনার্থীরা দেখেন, ঘোরেন, পছন্দ করে চলে যান। সপ্তাহখানেক যাওয়ার পর বই বিক্রি বাড়বে। আবার শেষেরদিকে বিক্রির চাপ আরও বাড়বে। আরেকটা বিষয় হলো এবার বইমেলা যে হচ্ছে তা এখনো ভালভাবে মানুষ জানে না। কয়েকদিনের মধ্যে জেনে যাবে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে বইমেলায় প্রাণ আসবে।
মেলার শুরুর দিকে দশনার্তীদের তেমন ভিড় না থাকলেও স্টল বিন্যাস নিয়ে প্রকাশক ও বিক্রেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন তাদের অসন্তুষ্টির কথা। এ নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বিশাল পরিসরের মেলার বিন্যাসে প্যাভিলিয়নগুলো মূল কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ফলে সাধারণ স্টলগুলো দূরে পড়ে গেছে। মূল কেন্দ্রবিন্দুর সমস্ত প্যাভিলিয়নের দখলে। ইউরোপসহ উন্নত বিশে^র দেশগুলোতে বইমেলা যেরকম হয়, সেখানে সব স্টল একই রকম। কিন্তু আমাদের বইমেলায় কেন এই বৈষম্যমূলক প্যাভিলিয়ন সংস্কৃতি প্রশ্ন তাদের। তবে বিষয়টি নিয়ে বইমেলার সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা আমরা পরিকল্পনা করেছি, অনেকে পছন্দ হয়েছে, কেউ কেউ বলছেন এটা ঠিক হয়নি। আমাদের চিন্তাটা হচ্ছে, প্রত্যেকটি প্রবেশপথে সাধারণ স্টলগুলো রাখা হয়েছে। যাতে মানুষ মেলায় প্রবেশ করে সাধারণ স্টরগুলো আগে ভিজিট করে তারপর প্যাভিলিয়নে যায়। আবার যখন বের হবে, তখনও কিন্তু ক্রেতারা ওই সাধারণ স্টলগুলো অতিক্রম করেই বের হবে। এতে কোন বৈষম্যের সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।