পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত। নরেন্দ্র মোদি পানি না দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানাচ্ছে। সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করছে। সেই নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারেনা। বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির আগমন কোনো ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর সিঁড়িতে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমমনা ইসলামী দলসমুহের সমন্বয়ক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড ঈসা শাহেদী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড আহমেদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়বে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও অধ্যাপক আব্দুল জলিল।
আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফ বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের আগমন নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের ভাবমর্যাদাকে উজ্জল করবে। বাংলাদেশের জনগণ এসব রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে যে নরেন্দ্র মোদির হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত, মোদি পানি না দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করছে। সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করছে, সে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারেনা। মোদির আগমন কোনো ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
আল্লামা ইউসূফী আরো বলেন, আমরা যদি কোন কর্মসূচি ঘোষণার সুযোগ নাও পাই তবুও ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে সবাই রাজপথে নেমে আসবেন। ড. ঈসা শাহেদী বলেন, ভারতের নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের কসাই হিসেবে পরিচিত। যার হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত সেই মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আনা হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলঙ্কিত হবে। ভারতের আদালতে পবিত্র কোরআনের ২৬টি আয়াত পরিবর্তনের রিট দাখিলের পেছনেও নরেন্দ্র মোদির হাত রয়েছে। তিনি মোদির আগমনের দিন সারাদেশে নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। ড.আহমদ আব্দুল কাদের বলেন নরেন্দ্র মোদিকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগন আজ ঐক্যবদ্ধ। সুতরাং সরকারের শুভ বুদ্ধির পরিচয় হবে যদি মোদির আমন্ত্রণ বাতিল করে। এসময়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা জুতা হাতে নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন মোদি’র দু’গালে জুতা মারো তালে তালে। বিক্ষুদ্ধ জনতা একটি টিভি চ্যানেলের ক্যামারাম্যানকে বিনা কারণে ধাওয়া করে কিলঘুষি মেরে আহত করে। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা রাস্তায় নেমে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল নাইট এ্যাঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকারীরা মোদির আগমনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে শ্লোগান দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।