পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালা আলোচনায় বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থানে দিল্লী উদ্বিগ্ন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নরেন্দ্র মোদির এহেন উক্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিজ দেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তথা উভয় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়নের স্বার্থে আরও যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারতের উগ্রবাদী বিজেপি সরকার তাদের দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় মুসলমানের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মত্ত হলেও বাংলাদেশে মুসলমানদের নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুসলমানরা সহনশীল বলেই সাড়ে সাতশত বছর ভারতবর্ষ শাসন করার পরও ভারতবর্ষে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। হিন্দু মুসলমানরা যদি বিজেপি তথা মোদি সরকারের মত হিংস্র হতো তাহলে ভারতবর্ষে একজনও হিন্দু থাকতো না। কাজেই বাংলাদেশে মুসলমানদের উত্থানে মোদি সরকারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুসলমানরা সবসময় শান্তিকামী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।