পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না- এমন বিবৃতি ৩ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে এ নোটিশ দেন। নোটিশের প্রেরক মুহাম্মদিয়া জামিয়ার প্রধান গবেষক ও মোহাম্মদপুর তাজ জামে মসজিদের খতিব মুফতি আযম আবুল খায়ের মুহাম্মদ আযীযুল্লাহ। নোটিশের ‘প্রাপক’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান। গত ১৫ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোজা রেখে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা যাবে- মর্মে ঘোষণা দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এই টিকা মাংসপেশীতে গ্রহণ করা হয় এবং এটি সরাসরি খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে প্রবেশ করে না। তাই রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করলেও রোজা ভাঙবে না বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নোটিশে বলা হয়েছে, রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ সম্পর্কিত এ ধরণে বিজ্ঞপ্তি ইসলামী শরীয়াতের পরিপন্থি। ইনজেকশন নিলে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হবে। কারণ, রোজা ভঙ্গের শর্তই হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তির শরীরে কোনোকিছু প্রবেশ করা। ইনজেকশন দ্বারা প্রয়োগকৃত ওষুধ ভেতরে প্রবেশ করে এবং তা পাকস্থলী ও মগজে পৌঁছে যায়। যা রোজা ভঙ্গের মূল কারণ।
পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হয়েছে, ‘আর যারা অসুস্থ বা মুসাফির, তারা অন্য সময় রোজা আদায় করে নেবে (বাক্বারা : ১৮৫)।
নোটিশে বলা হয়, উদ্ধৃতি থেকে এটা স্পষ্ট যে, রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ সম্পর্কিত এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি, ইসলামী শরীয়াতের পরিপন্থি।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আকিদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। রোজা অবস্থায় যেকোনো ইনজেকশন বা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। অথচ আপনারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন এবং ইসলামী আকিদা, তথা ঈমানের ওপর হস্তক্ষেপ করছেন। ফলে বাংলাদেশের মুসলিমদের তাদের সাংবিধানিক অধিকার ও পবিত্র কোরআন অনুযায়ী শরীয়াত পালনে বাধা সৃষ্টি করেছেন। একজন দায়িত্বশীল পদাধিকারী হিসেবে আপনার কাছে এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত উল্লেখিত সিদ্ধান্তসমূহ মুসলমানের অনুভ‚তিতে চরম আঘাত। এ অবস্থায় নোটিশ প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে গত ১৫ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় বাদী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।