পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় দায়েরকৃত রিট নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্ট। ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ সংকলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি না ছাপানোয় ‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগ এনে দায়ের করা হয় এ রিট। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ সংকলনটির সম্পাদককে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে রিটের নিষ্পত্তি করেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থ’র পুরাতন সব সংখ্যা বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহাকে আদালতে হাজির হয়ে সংকলনটির পুরাতন সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপানোর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ ধারাবাহিকতায় তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। এরপর রুল শুনানি শেষে মামলাটির রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তর্ভুক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। বইটি নিয়ে সমালোচনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থের পান্ডুলিপি তৈরি ও প্রকাশনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ২০১৩ সালের জুনে। এ বিষয়ে তখন উপদেষ্টা কমিটি ও সম্পাদনা নামে দু’টি কমিটি গঠিত হয়। কমিটি দুটি পান্ডুলিপি চ‚ড়ান্তের পর গ্রন্থটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশের পর এতে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যত্যয় দেখা গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গ্রন্থটির বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দেন। গ্রন্থটি রিভিউয়ের জন্য একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। এর মধ্যে ড. কাজী এরতেজা হাসানের রিট করেন। রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ২ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ঘটনা তদন্তে অর্থ সচিবকে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত।
তদন্ত প্রতিবেদনের ‘মতামত’ অংশে বলা হয়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ব্যাংকের নামকরণ করেন। গ্রন্থটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিবৃত রয়েছে। এ কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যাবশ্যক ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি- এ যুক্তিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃত হয়েছে মর্মে কমিটি মনে করে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।