পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে রাজধানী ঢাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সচিবালয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু এবং তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ছবি, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার আদলে ছবি দিয়ে বানানো হয়েছে হাজারো স্থাপনা। জাতীয় সংসদ ভবনের বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর আলোকসজ্জা রাঙেয়ে তুলেছে পুরো রাজধানীকে।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বহুবছর পর এমন সাজে তারা রাজধানী ঢাকাকে দেখছেন। বিজয় সরণির দুই পাশ সাজানো হয়েছে ব্যানার আর ফেস্টুনে। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের ছবি নিয়ে তৈরি স্থাপনা বসেছে নভোথিয়েটারের সামনে। সড়ক বিভাজক সাজানো হয়েছে ফুলের সাজে; সেখানে আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। কোথাও কোথাও টানিয়ে দেয়া হয়েছে বিদেশি মেহমানদের ছবি।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের চার পাশে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও শোভা পাচ্ছে এরকম দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। বঙ্গভবনের চার পাশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। জাতীয় সংসদ ভবন, হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরেও শোভা পাচ্ছে একই রকম দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।
গতকাল ১৭ মার্চ সারা দেশে পালিন হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। আর আসছে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ দুই উপলক্ষ ঘিরে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে দশ দিনের কর্মসূচি। প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও যোগ দেবেন সেসব অনুষ্ঠানে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ভাস্কর্যের পাশেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার আদলে স্থাপনা। স্থাপনাটির উপরে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
জোড়া এই উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকাকে সাজানো হয়েছে মনোরম সাজে। আলোকসজ্জায় রঙিন ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে একখন্ড লাল সবুজ পতাকায়। সন্ধ্যার পর সেই আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে পুরো রাজধানী।
প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন ভবনে লাল ও সবুজের পাশাপাশি নীল, হলুদ, সাদা, সোনালি আলো ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় আলোকসজ্জার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি।
রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেইট, সংসদ ভবন এলাকা, শেরে বাংলা নগর, শাহবাগ, বাংলামোটর, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক বিভাজক ও ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়াও কার্জন হলে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সচিবালয়ের চারপাশ, জিপিও, জিরো পয়েন্ট এলাকায় আলোকসজ্জার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ফেস্টুন করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিজয় সরণি মোড় পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে আলোকসজ্জার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও নৌকার আদলে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু এভেনিউ এ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়সহ আশপাশের ভবন ও রাস্তাতেও আলোক সজ্জা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।