পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল রিজভী বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ কি স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন আওয়াজ? এটাতো হচ্ছে দর কষাকষি। আপনি (পাকিস্তান) ক্ষমতা দিন না হলে আমি কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করব। সারা পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন এটা স্বভাবিক আপনার দল জিতেছে, এটা অন্যায়ের কিছু না।৭ মার্চের ভাষণে আপনি যে কথা বলেছেন। সেই কথাটা নিয়ে আজকে আওয়ামী লীগের যারা বলছে এর মধ্যেই স্বাধীনতার সুর। এটা হচ্ছে পাকিস্তানের সাথে বার্গেনিং করছেন, এটা পূর্ণরূপে বার্গেনিং। যে ক্ষমতা দিন ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, না হলে আমি স্বাধীনতা ঘোষণা করবো। তিনি বক্তৃতা করেছেন বেশ উদ্দীপনাময় বক্তৃতা, কিন্তু সেই বক্তৃতার মধ্যে তো স্বাধীনতার উদ্দীপনার কথা নেই। পাকিস্তানে তিনি সরকার গঠন করবে সেই কথাটাই রয়েছ তার বাইরে কিছু নেই। এটা নিয়ে যারা কথা বলছেন এটা আত্ম প্রবঞ্চক, প্রতারণামূলক।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচ তলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ-সব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ বিএনপির সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন,'৭ মার্চের ভাষণ এটা হচ্ছে জনগণের যেই দাবি স্বাধীনতার, মানুষ উন্মুখ হয়ে গেছে। তার সাথে ছিলো এটা বিশ্বাস ঘাতকতা। ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বিশ্বাস ঘাতকতা। আপনি সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতার কথা বলেননি। বরং আপনি বলছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা। এই ভাষণে জনগণকে কোন ডিরেকশন দেওয়া হয়নি। যে তোমরা যাও আমরা এখন থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়বো। তাদের সাথে আমাদের আর কোন কথা নেই। তারপরও আপনি তাদের সাথে দিনের পর দিন আলোচনা করেছেন। ভুট্টোর সাথে আলোচনা করেছেন। এরপর ২৩ মার্চ ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনা করেছেন। আলোচনা শেষে বলছেন আলোচনা অগ্রগতি হচ্ছে। ঐ আলোচনাগুলো কি? ওটা কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আলোচনা, নাকি ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা। এটাতো স্পট করে বলেন নাই। ওটাতো ক্ষমতা হস্তান্তর। ইয়াহিয়া খান একবার বলেছে যে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। এই যে বার্গেডিংটা এর মধ্যে স্বাধীনতার কোন সুস্পষ্ট কথা নেই। নেই বলেই তাদের মধ্যে এতো জ্বালা।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,'জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর কতো চেষ্টা করা হয়েছে যে, কি ব্যাপার তুমি স্বাধীনতার ঘোষণা করলে কেনো। এজন্য তাদের এতো ক্ষোভ, তাদের এতো জ্বালা। এজন্য কতো নতুন নতুন তত্ত্ব তারা দেয়। এবার দিয়েছে ২৫ ও ২৬ মার্চ নাকি যারা ব্যারিগেট দিয়েছেন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আপনার বাবাইতো কেন নির্দেশনা দেয়নি।
করোনার টিকা প্রসঙ্গে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,'ইন্ডিয়া বাংলাদেশে যে টিকা দিয়েছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে সন্দেহের তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স বলেছিলো এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বাংলাদেশে। আর্থৎ এই টিকা নেওয়ার পর আমরা কতগুলো লোক মারা যাচ্ছি, কত লোক অসুস্থ হচ্ছি এটা আগে ভারত দেখবে। তারপর ওরা সিদ্ধান্ত নেবে। ভারতের এই টিকা থাইল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। ওটা তো ছিলো অক্সফোর্ডের তৈরি, আর আমাদের যেটা দিয়েছে সেটা তো ভারতের।যেটা উৎপাদন করেছে ভারত।
তিনি আরও বলেন,'আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি যেহেতু এই টিকার বিরোধিতা করেছি,যোক্তিকভাবেই করেছি। আমি এই টিকা নেব না। আজকে প্রমাণিত হলো এই টিকার কার্যকারিতা নেই। এই টিকা মরনঘাতি, এই টিকার বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া থেকে ধিক্কার দিচ্ছে।
এসময় আরএ উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ,
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক,সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।