পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশও কি করোনার ঢেউ এসে গেলো। ইতোমধ্যে ভারতের অনেক রাজ্যে এবং পাকিস্তানের কিছু কিছু শহরে আবারও লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে জ্বর, সর্দি, কাসিসহ ঠাণ্ডা জনিস রোগের প্রার্দুভাব। জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই বুঝি করোনার দ্বিতীয ঢেউ বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুযায়ী, টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে ধরা যায়। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিল টানা আট সপ্তাহের বেশি।
ভয় ছিল শীতে। কিন্তু ঠান্ডা কেটে গরম পড়ার পর বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন সময় এটি হচ্ছে, যখন করোনার বিস্তার রোধে গণটিকাদান শুরু হয়ে গেছে।
গত ছয় দিন রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল হাজারের ওপরে। তার চেয়ে বড় কথা, পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার এক মাস আগের তুলনায় তিন গুণ হয়ে গেছে।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৬৯৫টি। এদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের তথ্য মিলেছে ১ হাজার ১৫৯ জনের শরীরে। পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৪ জনের দেহে। বৃহস্পতি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে।
তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৫১ জন। বুধবার ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৮ জনের দেহে।
শনাক্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যু। এক মাস আগেও দিনে পাঁচ থেকে সাতজনের মৃত্যুর তথ্য এলেও সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। গত ৬৭ দিনে এত বেশি মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘কিছু দিন হলো করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। এটা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কি না, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। আরও অপেক্ষা করতে হবে।
‘আগামী দুই সপ্তাহ যদি এই হার বাড়তে থাকে তাহলে বুঝতে হবে দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।’
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদ জানিয়ে এই চিকিৎসক জানান, ‘প্রায় দুই মাস দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল, যে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। টিকা নেওয়ার পর অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠানেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।
‘গত দুই সপ্তাহে বিদেশ থেকে প্রচুর মানুষ দেশে আসছে। তাদেরও সেভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দেয়া।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী জানান, ‘যেহেতু আমাদের দেশে এমন কোনো গবেষণা করা সম্ভব হয়নি, সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী দেয়া ঠিক হবে না। তবে আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে একেবারেই উড়িয়ে দেব না। টিকা দিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়টিকে ‘অনেকটা আপেক্ষিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
নিজের যুক্তি তুলে ধরে তিনি জানান, অন্যান্য দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। কারণ, তারা শুরুতেই কঠোর লকডাউনে ছিল। যখন লকডাউন খুলে দেয়া হলো, তখন সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করছে। ওখানে ভাইরাস পরিবর্তনের কারণে এটা হতে পারে। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।
সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ‘প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউ পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।